শেরপুর এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় হামলার ঘটনায় আহত হয়ে ৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকাল ১১ টার দিকে সদর উপজেলার কামারেরচর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়,ওই ছাত্রীকে একই শ্রেনীর ছাত্র শাকিল খান র্দীঘদিন যাবত নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে গজনী অবকাশে গেলে সেখানে ওই ছাত্রীকে নানা উপহার সামগ্রী দেয়ার প্রস্তাব করে শাকিল । কিন্তু সেই ছাত্রী রাজী না হলে শাকিল ক্ষুব্দ হয় এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
পরে আজ রবিবার সকালে ওই ছাত্রী স্কুলে এলে গতকালের ঘটনার রেশ ধরে নানা ভাবে প্রশ্ন করতে থাকলে একপর্যায়ে ওই ছাত্রী প্রতিবাদ করলে শাকিল পায়ের সেন্ডেল খুলে তাকে মারধোর করতে থাকে । এসময় ওই স্কুলের অন্যান্য ছাত্ররা প্রতিবাদ করলে শাকিলসহ তার অন্য বন্ধুরা প্রতিবাদকারী ছাত্রদের উপর ঝাপিয়ে পরে । এতে জুয়েল, কাদের, শাকিল আহাম্মেদ, মোশারফ, রুপম আহত হলে তাদের কে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় ওই ছাত্রদের পরিবারের লোকজন এলাকাভিত্তিক ইস্যু তুলে দশআনী পাড়া খান বাড়ী ও কামারপাড়ার কামার বাড়ীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান দুলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা চলাকালিন সময়ে আমার একটি মামলার হাজিরা থাকায় স্কুলে ছিলাম না । তবে ঘটনা সম্পূর্কে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষকদের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি তা হলো ওই মেয়ের সাথে স্কুল মাঠেই শাকিলের কথা কাটাকাটির জের ধরে শাকিল খান মেয়েটিকে আঘাত করে এবং তা অন্যান্য শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম তবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে এমন তথ্য শিক্ষকরা আমাদের জানাননি এবং এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের হয়নি।