আমন মৌসুমে কৃষকদের মাঝে আগাম জাতের বিনাধান-১৭ আশার আলো ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত স্বল্পমেয়াদী, খরসহিষ্ণু এবং সার ও উৎপাদন খরচ কম লাগায় উচ্চ ফলনশীল বিনাধান-১৭ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। সোমবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়াপাড়া এলাকায় স্থানীয় কৃষক সুলতান মাহমুদ বিনাধান-১৭ প্রদর্শনী প্লটের মাঠ দিবস অনুষ্টিত হয়েছে। ওই কৃষকের দেড় বিঘা জমিতে আবাদ করা বিনাধান-১৭ ধানের পরিপুষ্টতা দেখে বিঘাপ্রতি শুকনা অবস্থায় ১৫ মণ ফলন পাওয়ার আশা করছেন। মাত্র ১০৫ দিনে এমন ফলন ঘরে তুলতে পারায় আশপাশের কৃষকদের মধ্যে এ ধান বেশ সাড়া ফেলেছে।
এ মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মুহিত কুমার দে। বিনা নালিতাবাড়ী উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুল আলম তরফদারের সভাপতিত্বে এতে মুঠোফোনের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিনা’র মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন খামারবাড়ীর জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতান আহমেদ, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবাইয়া ইয়াসমিন, বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ, খামার ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ শফিকুজ্জামান, কৃষক সুলতান মাহমুদ প্রমুখ। স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. শরিফ হোসেন জানান, মাঠ দিবসে এলাকার দেড় শতাধিক কৃষক-কৃষানী অংশগ্রহণ করেন।
বিনা নালিতাবাড়ী উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুল আলম তরফদার জানান, শেরপুরে এবার বিনা উপকেন্দ্রের মাধ্যমে ২৫ জন কৃষকের মাধ্যম বিনাধান-১৭ প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বিনাধান-১৭ আবাদ হয়েছে। দিন দিন বিনাধান-১৭ আবাদী এলাকার পরিমাণ বাড়ছে।