জেলা পরিষদ সদস্য জাকারিয়া বিষুর উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেরপুরে আওয়ামীলীগের পৃথক দুই গ্রুপের বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এনিয়ে শহরে সাময়িক ভাবে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, শহরের অভ্যন্তরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলায় কোন ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি।
জেলা পরিষদ সদস্য জাকারিয়া বিষুর নিজ এলাকা থেকে আজ বেলা ১২ টায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে থানা মোড়ে সমাবেশ করেন। সমাবেশে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিচারের দাবীতে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়মীলীগের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, বিএমএ সভাপতি ডা. এমএ বারেক তোতা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হাসান উৎপল, জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব দুলাল উদ্দিন , জেলা পরিষদের সদস্য জাকারিয়া বিশু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মো. নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জুনায়েদ নূরানী মনি প্রমূখ।
অন্যদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান এবং আওয়ামীলীগ নেতা ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু’র বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মিরগঞ্জ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। পরে তারা শহরের কলেজ মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
এতে নেতৃত্ব দেন আওয়ামীলীগ নেতা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাব্বির আহম্মেদ খোকন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বায়োজিদ হাসান এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি ও কামারেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব। তবে সমাবেশ চলাকালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর রুমান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকাল থেকে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন শহরের প্রধান প্রধান সড়কের উপর বাঁশ বেঁধে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখেন। এছাড়া শহরে এবং শহরের বিভিন্ন মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য শহরে র্যাবের টহলও লক্ষ্য করা যায়।
অন্যদিকে আওয়ামীলীগের পৃথক দ্ইু গ্রুপের বিক্ষোভ-মিছিলকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অর্ধেক খোলা রাখা হয়। এসময় সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করেন। এছাড়া মিছিল সামবেশ চলাকালে শহরে যানবাহন চলাচলও কমে যায়।