প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও হুইপ আতিউর রহমান আতিকের পরামর্শে শেরপুরে আন্দোলনরত আইনজীবীরা জেলা জজসহ ২ বিচারকের আদালত বর্জন কর্মসূচী সাময়িক স্থগিত করেছেন। এ উপলক্ষে সকালে জেলা ও দায়রা জজ কিরণ শংকর হালদারের সভাপতিত্বে তার সভাকক্ষে অন্যান্য বিচারক ও আইনজীবী নেতাদের নিয়ে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দায়রা জজ আদালতের পিপি ও বারের সাবেক সভাপতি চন্দন কুমার পালের মধ্যস্থতায় ওই সমঝোতা বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান, বারের সভাপতি একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী, সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এমকে মুরাদুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম জাকির হোসেন, আব্দুল কাদের খান, মোখলেসুর রহমান আকন্দ, রফিকুল ইসলাম আধার প্রমুখ।
বৈঠকে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত অবস্থায় দুঃখ প্রকাশসহ বার ও বেঞ্চের মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পরে বার মিলনায়তনে আয়োজিত এক বিশেষ সাধারণ সভায় জেলা জজসহ ২ আদালত বর্জন কর্মসূচী সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেন বারের সভাপতি একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী।
এদিকে আদালত বর্জন কর্মসূচী স্থগিত করার পরপরই আইনজীবীরা সকল আদালতে ফিরে যাওয়ায় বিচারপ্রার্থী মানুষের দূর্ভোগের অবসান হয়েছে।
উল্লেখ্য, অসৌজন্যমূলক আচরণসহ বারকে অবমূল্যায়নের অভিযোগ তুলে ২ মে অনুষ্ঠিত জেলা বারের জরুরি সাধারণ সভায় জেলা জজ কিরণ শংকর হালদার ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুুমিনুন্নেছা খানমের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন আদালতে কর্মচারীদের তালা ঝুলানো, বিক্ষোভ মিছিল এবং নিরাপত্তার অজুহাতে অধিকাংশ আদালত পুনঃপুন মূলতবি করার মতো নানা ঘটনা ঘটতে থাকে।
ওই অবস্থায় আইনজীবী নেতারা প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে উদ্ভূত অবস্থার শান্তিপূর্ণ নিরসন দাবি করেন। তারা আদালত অঙ্গণের নানা সমস্যা গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে সেগুলো নিরসনে আইনজীবী নেতাদের আশ্বস্ত করলেও আপাতত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এরপর আইনমন্ত্রী বিষয়টি দেখতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ আতিউর রহমান আতিকের সহযোগিতা চাইলে তিনি দায়রা জজ আদালতের পিপি চন্দন কুমার পালের উপর ওই দায়িত্ব অর্পণ করেন।