শেরপুরে আইনজীবি এরশাদ আলী লিটনের উপর হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৩ আগস্ট) দুপুরে শেরপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এড. লিটন মিয়া। তিনি বলেন, শেরপুর আদালতে বিচারাধীন একটি মামলায় বাদীপক্ষকে আইনগত সহায়তা প্রদান করলে মামলার আসামীপক্ষ সদর উপজেলার হেরুয়া তালুকপাড়া মহল্লার খাঁ-গোষ্ঠীর লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে মামলা পরিচালনা না করার শর্তে আমাকে হুমকি দেয়। এরপর ১৬ আগস্ট রোববার আমাকে রাস্তায় একা পেয়ে আক্রমণ করলে আমি বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। এরপর মামলার বিষয়ে খাঁ গোষ্ঠীর লোকজন অবগত হলে তারা আমার বাড়িতে ভাঙচুর করে। ওই খাঁ গোষ্ঠীর বিশাল চক্রের কাছে পুরো এলাকা জিম্মি। তিনি আরও বলেন, সংবাদ সম্মেলনে ২০ পরিবারের নির্যাতিত সদস্যরা উপস্থিত আছেন। যাদের কারও হাত, দাঁত, আঙ্গুল, পাঁ এর অঙ্গহানি করে দিয়েছে ওই খাঁ গোষ্ঠীর লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে এড. লিটন আরও অভিযোগ করে বলেন, খাঁ গোষ্ঠীর সকল অপকর্মের হোতা এসিল্যান্ড নাহিদ হাসান খান। যিনি বর্তমানে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কর্মরত আছেন। যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের তৎকালীন কামরুজ্জামান এর ফাঁসির পর সারাদেশে কোথাও গায়েবি জানাজা না হলেও এসিল্যান্ড নাহিদ হাসান খান এর তত্ত্বাবধানে তাহার পিতা নাসির খান ও চাচা সুলতান খানের নেতৃত্বে এলাকায় প্রকাশ্যে গায়েবী জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
খাঁ-গোষ্ঠীর অনৈতিক কার্যকলাপে ও বেআইনি হুমকিতে আমি ও আমার পরিবারসহ গ্রামের নিরীহ মানুষজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরিশেষে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভুক্তভোগী এডভোকেট লিটন যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে এসিল্যান্ড নাহিদ হাসান খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত নই। কেউ আমাকে ফাঁসানোর জন্য চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জিএম আফসার বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনসহ জেলার কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা।