শেরপুর জেলা সদরের ইউনাইটেড হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে অস্ত্রপচারকৃত প্রসুতির চিকিৎসা না দিয়ে ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্স কৌশলে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ প্রসুতির স্বামীর।
জানা গেছে, শেরপুর জেলা শহরের খোয়ারপাড় মহল্লার শাহিনুর রহমান পনির এর স্ত্রী তানিয়া (২২) সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকেই শহরের গোপালবাড়ীর প্রাক্তন পারভিন ক্লিনিক বর্তমানে ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ হাসিনাতুল ফেরদৌস লোপা’র তত্ত্বাবধানে থাকে। সোমবার সকালে পনিরের স্ত্রী তানিয়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করান।
স্ত্রী সন্তানসম্ভবা থাকায় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ হাসিনাতুল ফেরদৌস লোপা’র কাছে পরামর্শ করতে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে চিকিৎসকের স্বামী মিলন ফোন রিসিভ করে বিভিন্ন ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেন তাকে। এক পর্যায়ে ওই চিকিৎসকের স্বামীর নিজস্ব ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য বললে রাত সাড়ে আটটার দিকে তানিয়াকে সেখানে ভর্তি করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গর্ভের সন্তান ক্ষতির শঙ্কা দেখিয়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে মিলনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ডাঃ মুসলিমা আক্তার মৌসুমী তানিয়াকে অস্ত্রপচার করলে তার গর্ভের সন্তান মারা যায়।
পরে হাসপাতালের সকল নার্স ও চিকিৎসক কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় চিকিৎসার অভাবে অস্ত্রপচার করা তানিয়ার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তানিয়ার স্বজনরা তাকে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যায়।
রোগীর স্বামী শাহিনুর রহমান পনির বলেন, ‘অহেতুকভাবে আমার স্ত্রীর ও আমাকে অনেক ভয় দেখিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। অস্ত্রপচারের সময় আমার সন্তানকে চিকিৎসক মেরে ফেলেছে, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগ সাপেক্ষে অব্যশয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।