জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. সুকল্প দাস। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কামরেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব।
কৃষকদের সাথে মত বিনিময় সভায় ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, দেশে আউশের ফলন বৃদ্ধি লক্ষ্যে আমাদের এ ‘ব্রিধান-৯৮’ জাতের ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ ধান রোপনের ১২০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায় এবং একরে ফলন হয় ৮০ মনেরও বেশি। তাই কৃষকদের মাঝে এই ধান চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের সাথে মতবিনময়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়েছে। এই এলাকায় ২০০ কৃষকের মাঝে প্রায় ২০০ একর জমি আউশের আওতায় আনার টার্গেট করা হয়েছে।
এদিকে, এ ধানের বীজ পেয়ে স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি বিভাগের লোকজন আমাদেরকে এ ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং এই ধান চাষে নানা সুফল ও লাভের কথা বলা হয়েছে। আমরাও আগ্রহ করে ধানের বীজ নিলাম। এ সপ্তাহের মধ্যে এ ধানের বীজতলা তৈরি করা হবে। ফলন ভালো পেলে আমরা পরবর্তী বছরগুলোতেও এ জাতের আমন ধান চাষে আগ্রহী হবো। ভুট্টা চাষীরা এ ধান রোপণে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বলে জানান কৃষকরা। কারণ বর্তমানে ভুট্টা ফলন উঠে গেছে এবং জমিও খালি পড়ে আছে। আবার যেসব জমিতে বোরো ধান রয়েছে তা উঠতে আরো এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। তাই যারা ভুট্টার আবাদ করেছে তারা এই মুহূর্তে এই আমন ধানের চারা রোপন করতে পারবে।