শেরপুরে শহরের পূর্ব গৌরিপুর এলাকায় মঙ্গলবার সকালে অগ্নিকাণ্ডে একটি বসতবাড়ী ভস্মীভুত হয়েছে। এতে বসতঘর সহ ঘরের সকল আসবাবপত্র এবং মালামাল ভস্মীভুত হওয়ায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার সম্পদ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত বলে দমকল বিভাগ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও দমকল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শহরের পূর্ব গৌরিপুর এলাকার বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক মো. আলমগীর হোসাইন রতন পরিবার-পরিজনসহ ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ী শ্রীবরদী উপজেলার রূপারপাড়া গ্রামে অবস্থান করছিলেন। পূর্ব গৌরিপুরের ওই বাসার একটি ইউনিটে পাঞ্জেরী প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মকর্তা মো. মাসুদ ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল আটটার দিকে ভাড়াটিয়া মাসুদ বসতবাড়ীটি তালাবদ্ধ করে পেশাগত কাজে জামালপুরে শহরে চলে যাওয়ায় বাড়ীতে কোন লোক ছিল না। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশপাশের লোকজন তালাবদ্ধ ওই বসতবাড়ির ঘরের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে এগিয়ে গেলে আগুনের কুন্ডলি ছড়িয়ে পড়তে দেখে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
ঘটনাটি দমকল বিভাগকে জানানো হলে দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন নেভানোর আগেই ঘরের কাপড়-চোপড় সহ সমস্ত আসবাপত্র, টিভি-ফ্রিজ, মালামাল এবং জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের লেলিহান শিখায় বসতঘরটির টিনের চাল ধ্বসে পড়ে এবং ঘরের দেওয়ালগুলোতে ফাটল ধরে যায়।
গৃহকর্তা মো. আলমগীর হোসাইন রতন বলেন, আগুনে আমাদের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পড়নের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নাই। আমি এখন কিছুই চিন্তা করতে পারছিনা। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের ফলে প্রায় ২৫ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শেরপুর দমকল বিভাগের সহকারি পরিচালক আবুল বাশার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে আনুমানিক ১০/১২ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।