কুরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র দুইদিন। ইতোমধ্যে জমে উঠছে গরুর হাট। তবে হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম। যেখানে গত বছর কোরবানির ঈদে ঐতিহ্যবাহী নৌহাটা পৌর গরুর হাটে ঈদের দুইদিন আগে একদিনেই ১৬০০ গরু বিক্রি হয়েছে। এবার ঈদের দুইদিন বাকি থাকলেও এই হাটে একদিনে ৬০০ গরু বিক্রি হয়েছে। এতে করে হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও ক্রেতা নেই। ক্রেতা আসছে, গরু দেখছে, দাম করছে; আবার চলে যাচ্ছে! কেউ আবার কিনছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের নজর কাড়তে নানা প্রয়াস চালাচ্ছেন ইজারাদাররা। চলছে হাটের আকর্ষণ বাড়াতে সাজগোজ। ক্রেতারা ঘোরাঘুরি করছেন। গরুর দাম যাচাই করছেন। হাটে প্রচুর গরু উঠলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। তবে কম দামে গরু বিক্রি করতেও রাজি নন তারা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে গরু বেচাবিক্রিও তখন বাড়বে সঙ্গে হাটও পুরোমাত্রায় জমে উঠবে, এমন মত দিলেন অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নৌহাটা গরুর হাটে কোরবানির গরু কিনতে মানুষের ভির। হাটের ভেতরে গেলে দেখা যায় মানুষের চেয়ে গরুর সংখ্যা বেশি। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে চলছে দর-দাম কষাকষি। তবে এবার দাম বেশ চড়া বলছেন হাটে আসা ক্রেতারা। আর চাহিদামতো দাম না পাওয়ায় গরু বিক্রি করছে না বিক্রেতারা।
সজবরখিলা মহল্লার বাসিন্দা রফিক মিয়া গরু কিনতে নৌহাটা গরুর হাটে এসেছেন। এসময় তিনি বলেন, হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে; তবে দাম অনেক বেশি। কেজি ৬০০ টাকা ধরেও মাংস অনুপাতে যে গরুর দাম ৭০ হাজার টাকা হওয়ার কথা, অই গরুর দাম হাকাচ্ছে ১ লাখ টাকা।
শ্রীবরদী হতে গরু কিনতে আসা শামসুল জোয়াদ্দার বিক্রেতার সঙ্গে দর দাম করছে। ইতিমধ্যেই দাম মিলে গেছে। তিনি বলেন, গরুর পাইকার দাম চেয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনলাম; এখন রশিদ করতে যাচ্ছি। তবে দাম খুব চড়া।
গরুর দামের বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইগাতি থেকে আসা গরু বিক্রেতা আবুল হাশেম বলেন, কেজি ধরে মাংসের হিসেবে কোরবানির পশু বিক্রি করা যায় না। তাছাড়া গরুর দাম অত বেশি না। একেকটা গরুর পিছনে আমাদের অনেক খরচ। তবে হাট বাজারে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর দাম বেশি।
নৌহাটা পৌর গরুর হাটের ইজারাদার (পার্টনার) আব্দুল বারী বিপ্লব শেরপুর টাইমসকে জানান, আমাদের হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল রয়েছে। জাল টাকা শনাক্তের জন্য মেশিন এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম রয়েছে। তাছাড়াও রাজধানী থেকে আগত ক্রেতাদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।