প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। শ্রীবরদী উপজেলায় ৮৬ কেন্দ্রের কোথাও কোন গোলযোগ হয়নি। ঝিনাইগাতী উপজেলায় ৫৫ ভোট কেন্দ্র বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্ত ছিল। তবে দু’ উপজেলাতেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন সর্বোচ্চ ৩২-৩৩ শতাংশ মানুষ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিলেন।
বুধবার (৮ মে) বিকেলে শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন র্যাব- ১৪ কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি মহিবুল ইসলাম খান। এরপর বিকেল পনে ৪টায় ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দেখতে যান জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল খায়রুম ও পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম। এ সময় তারা কেন্দ্রে উপস্থিত কয়েকশত মানুষকে জিজ্ঞেস করেন “ভোট কেমন হয়েছে” জবাবে তারা বলেন, খুব ভালো।
কেন্দ্রে উপস্থিত ৭৫ বছর বয়সী সাহাজউদ্দিন প্রশাসনের এ দু’ কর্মকর্তাকে বলেন, ভোট দিবার পারছি, এইডাই শান্তি। অহন যে খুশি সে পাশ করুক আমার আফসোস নাই। উপস্থিত সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকারের পরিস্কার নির্দেশ ছিল “নির্বাচনে টু শব্দ হবে না। আমরা সে নির্দেশনা সফলতার সাথে পালন করতে পেরেছি।” দুই উপজেলায় কোন ঝামেলা হয়নি।
র্যাব- ১৪ কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি মহিবুল ইসলাম খান বলেন, সবাই যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন সেজন্য র্যবের ৪টি দল কাজ করছে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ পক্ষপাতহীন নির্বাচন।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, প্রশাসন জনগনকে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার পথ তৈরি করে দিয়েছে। এতে আন্তরিকতার কোন অভাব ছিল না। তাই অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই নির্বাচনে ৩ প্লাটুন বিজিবি, ৪২৩ জন পুলিশ সদস্য ও ১ হাজার ৯৯৫ জন আনসার এবং র্যাবের ৪টি টহলদল নিরাপত্তা প্রদান করেছে।