শেরপুরের শ্রীবরদীতে একই স্থানে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের সভা আহ্বান করাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অন্যদিকে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের এমপি প্রকৌশলী ফজলুল হক চাঁনকে খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।
আজ বিকেলে শেরপুরের শ্রীবরদীর খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে লঙ্গরপাড়া বাজারে আয়োজিত বর্ধিত সভা ও একই স্থলে স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগও কর্মীসমাবেশ ডাকলে আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় আজ রাত ১২টা পর্যন্ত লঙ্গরপাড়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশ এসে উভয় সমাবেশের মঞ্চভেঙ্গে দেয়। ফলে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদে নেতাকর্মীরা লঙ্গরপাড়া হাইস্কুল মাঠে এসে বিক্ষোভ করেন। এসময় শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন বলেন, স্থানীয় এমপি ফজলুল হক একজন দূর্নীতিবাজ। তিনি বলেন, সমাবেশ বাঞ্চাল করার জন্য ফজলুল হক চাঁন এমপি স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে ১৪৪ধারা জারি করিয়েছেন।
শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল আল জাহান বলেন, বর্তমান এমপি ফজলুল হক চাঁন সাহেবের আওয়ামীলীগের কারো সাথে তার সম্পর্ক নেই। সে বিএনপির ক্যান্ডিডেট তার ভাতিজার পক্ষে কাজ করেছে। তার ভাতিজাকে এমপি বানানোর পায়তারা করছেন। তাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তাকে অবাঞ্চিত বলে ঘোষণা করছি।
অপরদিকে এমপি ফজলুল হক সমর্থিত যুবলীগ নেতৃবৃন্দ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতারা ক্রস আওয়ামীলীগার। তারা কখনই আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করেননি। বর্তমানে এমপির জনপ্রিয়তা অনেকগুন বেড়েছে বলেও দাবী করেন তারা।
এব্যাপারে বক্তব্য চাওয়া হলে প্রকৌশলী ফজলুল হক চাঁন এমপি মুঠোফোনে বলেন, তিনি একটি মিটিং এ ব্যস্ত আছেন। পরে কথা হবে বলে তিনি লাইন কেটে দেন।
এদিকে ১৪৪ ধারা জারি সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য চাওয়া হলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পারবেননা বলে জানান।