‘আমার পরাণ বন্ধু আসিয়া কাছেতে বসিয়া, নয়নের জল আমায় দিবে গো মুছিয়া, এমন সুদিন আমার কোন দিনগো হবে’। এমনি হৃদয় দুলানো সুরেলা কন্ঠে গান গেয়ে, গানের জগতে জায়গা করে নিয়েছেন শেরপুরের লালন কন্যা জেসমিন। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক সহযোগিতায় গানের জগতে প্রবেশ করেন লালন কন্যা। আসলে সব ধরনের গানই গেয়ে থাকেন জেমমিন। প্রায় সব প্রোগ্রামে কমপক্ষে একটি করে হলেও লালন শাহের গান পরিবেশন করায় শ্রোতারা স্থানীয়ভাবে তাকে লালন কন্যা জেসমিন বলেই চিনেন।
নিজ এলাকার একটি বৈশাখী মেলায় গান পরিবেশনের মাধ্যমে জেসমিনের গান করার যাত্রা শুরু। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করে সঙ্গীত পিপাসু মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। গত ৫ বছর ধরে চলছে তার এই সঙ্গীত চর্চা। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় টেলিভিশনের নামি দামি গানের প্রতিযোগিতামুলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তার।
তবে জেসমিন শেরপুর টাইমসকে জানায়, ইতোমধ্যেই জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতা পুরুষ্কার, রেডক্রিসেন্ড পুরুষ্কার ও ২০১৭ সালে শেরপুর পাতাবাহার খেলাঘর আসরের রবিন্দ্র সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরুষ্কার পেয়েছেন। এছাড়াও বৃহত্তম ময়মনসিংহে সাংস্কৃতিক ফোরাম প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছিলেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় দর্শক শ্রোতাদের ভালবাসায় স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে গানের জগতে বিশেষ অবদান রাখতে চান।
জেসমিন শেরপুরের রুপান্তর শিল্পগোষ্ঠীর একজন নিয়মিত শিল্পী। সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি লেখাপড়ায় পিছিয়ে নেই জেসমিন। এবছর সে শেরপুর সরকারী কলেজে ইন্টার ফাষ্ট ইয়ারে পড়ছেন। তার আশা গানের জগতে আরো অনেক দুর এগিয়ে যাওয়ার। একজন পেশাদার শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। ৫ ভাইবোনের মধ্যে জেসমিন তৃতীয়। মা মাহমুদা বেগম সবসময় জেসমিনকে সঙ্গীত চর্চার প্রেরণা যোগান। রুকুনুজ্জামান রুকনের কাছে জেসমিন নিয়মিত গানের তালিম নেন। এতে তিনি যে কোন অনুষ্ঠানে নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশন করে যাচ্ছেন। লালন কন্যা জেসমিনের বাসা শেরপুর শহরের জামালপুর বাসস্ট্যান্ডের বারাকপাড়া এলাকায়।
দর্শকশ্রোতা ও ভক্তদের উদ্দেশ্যে জেসমিন বলেন, সকলের ভালবাসা ও দোয়া থাকলে গানের জগতে আরো অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারবেন।