শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নকে আগামী এক বছরের মধ্যে নিরক্ষর মুক্ত করার লক্ষে ‘সুরে ছন্দে আলাপচারিতা বর্ন শিক্ষা’ স্কুল উদ্বোধন করা হয়েছে। আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকামী জনসংঘ ‘আসল কাজ’ এর উদ্দোগে এবং বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সহযোগীতায় এ স্কুল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় লছপনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে প্রধান অতিথি ছিলেন আসল কাজের প্রধান উপদেষ্টা সমাজ সেবিকা রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, বিশেষ অতিথি উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম, শামীম হোসেন, কুমার চন্দ্র রায় এবং সদস্য মোবারক হোসেন, আসল কাজের সভাপতি মনিরুজ্জামান রিপন, সহ-সভাপতি গোলাম মেহেদী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ, নির্বাহী সদস্য লিটন চন্দ্র সাহা, দশের লাঠি’র সভাপতি আলহাজ্ব ফুয়াদ উল্লাহ, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সভাপতি মো. শাহরিয়ার ফেরদৌস, কবি নজরুল পাবলিক স্কুলের পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিটন, অগ্রদূত প্রিপারেটরি হাই স্কুলের পরিচালক মো. কবির হোসাইন প্রমূখ।
৯ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত থেকে এ স্কুলের পাঠদান শুরু হয়েছে। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এক জন ট্রেনারের মাধধ্যে ওই ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজার সংলগ্ন সান্দার পট্টিতে এ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন রাতে স্থানীয় অক্ষর জ্ঞানহীন বয়স্ক ও শিশুদেরকে সুরে ছন্দে এবং আলাপচারিতার মাধ্যমে অক্ষর-জ্ঞান দিয়ে এক বছরের মধ্যে নিরক্ষর মুক্ত করা হবে। যাতে সকলে নিজের নাম লিখতে, পড়তে এবং জমি-জমার কাগজপত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকারের কাগজপত্র পড়ে বুঝতে পারে।
উল্লেখ্য, আসল কাজ ইতিমধ্যে শেরপুর পৌরসভা, পাকুরিয়া ও লছমনপুর ইউনিয়নে মোট ১৩ টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হলেও বর্তমানে চলমান রয়েছে ৪টি স্কুল এবং কার্যক্রম শেষ হয়েছে ৯ টি স্কুলের। ৫০ দিনের মধ্যে প্রতিটি স্কুলের কোর্স শেষ করা হয়। এসব স্কুলে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অক্ষর-জ্ঞান অর্জন করেছে। তবে এখন থেকে কেবলমাত্র লছমনপুর ইউনিয়নকে নিরক্ষর মুক্ত করতে এ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হলেও পর্যায়ক্রমে ওই ইউনিয়নে আরো স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
শেরপুর টাইমস/ বা.স