শেরপুর পৌরসভার সীমানা বরাবর বয়ে যাওয়া পাহাড়ি মৃগী নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কসবা ভাটিপাড়া মহল্লার বেশ কয়েকটি বসতভিটে নদী গর্ভে ভেঙে পড়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে পুরোনো কবরস্থানও একটি মসজিদ।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন থেকে শহরের উপকন্ঠ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি মৃগী নদী পাশ্ববর্তি লছমনপুর ইউনিয়নের নামা শেরীর চর এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। সেই ভাঙন বর্তমানে পৌর এলাকার কসবা ভাটি পাড়া মহল্লায় ঠেকেছে। গত ১৫ দিন যাবত ওই এলাকার মাসুদ মিয়া, সুজন মিয়া, আফরোজ আলী, আলতাফ মিয়া, জামাল মিয়া ও সোহরাব আলীর বেশ কয়েকটি ঘর নদী গর্ভে ভেঙে পড়েছে। এসব বাড়ি-ঘরের সাথেই পৌরসভার সড়ক থাকায় তাদের জমিও কমে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে তাদের ঘর-বাড়ি ওই এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না বলে তারা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা শহরের নয়আনী বাজারের পাদুকা ব্যবসায়ী মাসুদ মিয়া জানায়, ভাঙনের বিষয়টি আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আতিকুর রহমান মিতুলকে জানানো হলেও আজও ভাঙন রোধে কার্যক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে পৌরসভার প্যানেল মেয়র আতিকুর রহমান মিতুল জানান, বিষয়টি লিখিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিবেন।
শেরপুর টাইমস/ বা.স