শেরপুরের নকলায় সরকারী হাজী জালমামুদ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক লাঞ্ছিত হয়েছেন । লাঞ্ছিত শিক্ষক ড. আনিসুর রহমান আকন্দ বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গেল ২৫ শে সেপ্টেম্বর ওই প্রভাষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলতাব হোসেনসহ একই কলেজর প্রভাষক আলী নেওয়াজ আহমেদ ও সফিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগকারী ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ডঃ আনিসুর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর কলেজে আসার পর আমি ২য় তলায় অনুষ্ঠিত পরীক্ষার রুমে সহকর্মীদের সাথে সাক্ষাতের সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলতাব হোসেন আমাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাননাশের হুমকি দেয়। যা আমি নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।
এরপর আমি ষ্টাফরুমে বসার পর আমার সহকর্মী প্রভাষক নেওয়াজ আহমেদ রুম থেকে টেনে হিচড়ে বের করে দিলে আমি দুপুর ২ টার দিকে নকলা সিনেমা হল চত্বরে শেরপুর যাওয়া জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম এ সময় প্রভাষক আলী নেওয়াজ ও শফিকুল ইসলাম সহ কয়েকজন এসে আমার হাতে থাকা ছাতা দিয়ে উপস্থিত সকলের সামনে পিটিয়ে আহত করলে আশে পাশে থাকা লোকজন উদ্ধার করে ।
পরে বেলা আড়াইটা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করি। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ আমাকে সি এন জি যোগে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন গত ৩ দিন যাবৎ আমি শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি।
তবে এ ব্যাপারে নকলা সরকারী হাজী জালমামুদ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলতাব হোসেন বলেন, ইংরেজি প্রভাষক আনিসুর রহমানের ওই দিন কোন ডিউটি ছিল না এবং পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের সাথে নিয়ে হলের বাইরে আড্ডা দিয়ে পরীক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। ২০১২ সালে তার বিরুদ্ধে জামায়াতী ইসলামীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে এবং ওই সময় ম্যানেজিং কমিটি তাকে শোকজ করেছিল।
অভিযুক্ত প্রভাষক আলী নেওয়াজ বলেন, ঐ প্রভাষক আনিসুর রহমান আকন্দ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা, তাকে ঐ দিন চা খাওয়ার জন্য টানাটানি করেছি মাত্র।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নকলা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এই শিক্ষক লাঞ্ছিত ঘটনায় নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান।
নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, ইতিমধ্যে তিনি কলেজের উভয় পক্ষের মধ্যে বক্তব্য নেওয়া হয়েছে এ বিষয়টি দ্রুতই সমাধান করা হবে ।