শেরপুরের নকলায় ট্রাকের ধাক্কায় গার্মেন্টস কাপড় ব্যবসায়ী উমর ফারুক নামের এক মোটর সাইকেল চালক ও প্রতিপক্ষের ঘুষির আঘাতে ফার্নিচার ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান রুবেল মিয়া নামের আরও একজন নিহত হয়েছেন। নিহত উমর ফারুক কলাপাড়া গ্রামের আব্দুছ ছাত্তারের ছেলে এবং রুবেল নকলা পৌরসভার বাদাগৈড় এলাকার জয়নাল আবেদীন ওরফে কিতাবালীর ছেলে। শুক্রবার রাত আটটায় নকলা-নালীতাবাড়ি সড়কের ফেরুষা এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে এবং রাত সাড়ে ১০টায় বাদাগৈড় এলাকার কলাপাড়া মোড়ে রুবেলকে ঘুষি মেরে হত্যা করার ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, নকলা বাজারের রাঈদা ফ্যাশনের মালিক ফারুক নবজন্ম নেওয়া তার মেয়েকে দেখতে মোটর সাইকেল যোগে ধনাকুশা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে উক্ত স্থানে পৌঁছলে পিছন থেকে লোহার ভাংগারী ভর্তি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তার কোমর হতে নিচের অংশ ক্ষত বিক্ষত হয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত নকলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারাকান্দা এলাকায় পৌঁছলে সে মারা যায়। ঘাতক ট্রাকটিকে নকলা থানার পুলিশ আটক করলেও চালক পলাতক রয়েছে।
অন্যদিকে রুবেলের বড়ভাই ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, মোবাইল চোরের একটি ঘটনাকে স্থানীয় ভাবে মীমাংসার লক্ষ্যে বসা বিচার সালিশে তর্কাতর্কীর এক পর্যায়ে বিচারকদের উপস্থিতিতেই চৌধুরী ছবরুন নেছা মহিলা কলেজের এমএলএসএস একই এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে হাসান আলী রুবেলকে ঘুষি মারলে সে মাটিতে পড়ে যায়। অন্যান্যরা রুবেলের মাথায় পানি দিতে থাকায় সে ঘটনা স্থলেই মারা যায়। পরে রুবেলকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাহসিন তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নকলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ওসি) খাঁন আব্দুল হালিম সিদ্দিকী উভয় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান যে, দুই বিষয়ে থানায় আলাদা দুটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। কামরুজ্জামান রুবেল হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকায় ওই এলাকার সুজন নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং রুবেলের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।