শেরপুরে চরাঞ্চলের শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের দুর্গম ৭নং চর এলাকায় এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। ৭নং চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তালিকা অনুসারে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম দুই শতাধিক শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন। পরে তিনি ৭নং চর মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝেও কম্বল বিতরণ করেন।
বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম বলেন, কম্বল বিতরণ উদ্দেশ্য নয়, এটাতো সামান্য উপহার মাত্র। এখানে আসার উদ্দেশ্য হলো-এলাকার মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পর্ক উন্নয়ন করা। তিনি বলেন, আমি আইনের সোজা পথে চলতে পছন্দ করি। যারা আইন মেনে চলেন, অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত নন, তাদের সাথে সোজা ব্যবহার হবে। আর যারা আইন লঙ্ঘন করেন, অপরাধের সাথে যুক্ত, বাঁকা পথে চলেন, তাদের সাথে আইনের ভাষায় বাঁকা কথাই হবে। পুলিশ সুপার বলেন, অপরাধীর কোন ছাড় নেই। তিনি যেখানেই থাকুন, যতদূরেই থাকুন, যত শক্তিশালীই হোন, কে আপন, কে পর সেটা দেখা হবে না। আইনের লম্বা হাতে তাদেরকে পাকড়্ওা করা হবে, যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম, কামারেরচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবীব, সদর থানার ওসি মো. এমদাদুল হক। অনুষ্ঠানে ওসি (তদন্ত) মো. সাইফুল্লাহ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহসীন আলী, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান মুরাদ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ সুপার সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা এলাকাবাসীর অনুরোধে ৭নং চরের বাজারের পাশের দশানি নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম জানান, এই শীতে শেরপুরে পাহাড়ি জনপদের নৃ-জনগোষ্ঠি, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবার, বিভিন্ন এলাকার ছিন্নমুল মানুষের পর এবার চরাঞ্চলের শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার নিজ উদ্যোগে এসব কম্বল সংগ্রহ ও বিতরণের উদ্যোগ নেন।
কামারেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, স্বাধীনতার পর জেলার প্রথম কোন এসপি এবং উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা যোগাযোগ বিপর্যস্ত দুর্গম ৭নং চর এলাকায় এলেন। এতে এলাকাবাসীরা দারুণ খুশী।