শেরপুরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে পেঁয়াজের প্রচুর সরবরাহ থাকলেও বাজার ভেদে পেঁয়াজের কেজি এখনও ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই আটকে আছে। এদিকে, কাঁচামরিচের দামও ক্রমশ বাড়ছে। দুইশ’ টাকা কেজি দরের কাঁচামরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ’ টাকায়। তবে, এলাকা ও বাজার ভেদে দামে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে, কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শেরপুর শহরের নয়ানিবাজার, নবীনগর হাজীর দোকান, খোয়ারপাড়, বাস ষ্ট্যান্ড, আখের মাহমুদ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। এদিকে আজ (বুধবার) দুপুর থেকে আবারো শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সকালের চেয়ে পড়ন্ত দুপুরে পণ্যের দামে আবারো তারতম্য শুরু হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের এমন দর আরও কিছু দিন থাকবে। সামনে কোরবানির ঈদ, তাই পেঁয়াজের চাহিদাও বেড়েছে। এ সময় মূল্য বাড়বে। এদিকে, কাঁচামরিচের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেন, বৃষ্টি ও বন্যায় কাঁচামরিচের ক্ষেত ডুবে গেছে। এতে গাছ মরে গেছে। বন্যার পানি নেমে না গেলে নতুন চারা রোপণ এবং নতুন ফসল না ওঠা পর্যন্ত কাঁচামরিচের বাজার এমনই থাকবে। এমনকি ঈদে কাঁচা মরিচের দাম আরও বাড়তে পারে।
শেরপুরের কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় বাজারেই সবজি ও মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়ামূল্যে। এর প্রভাবে মাংস ও ডিমের মূল্যও কিছুটা বাড়তি। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম, বৃষ্টি ও বন্যায় সব পণ্যেই দামের তারতম্য ঘটছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হলে, এই তারতম্য আরো কিছুদিন ঘটবে। নয়ানীবাজারের ব্যবসায়ী ছামেদুল শেরপুর টাইমসকে বলেন, ”বন্যা ও বৃষ্টি কমলে ডিমের দাম কিছুটা কমবে। বাজারে সবজি, মাছ ও মাংসের দাম বেড়েছে। সবাই ভর করেছে ডিমের ওপর। চাহিদা অনুযায়ী ডিমের সরবরাহ হচ্ছে না বাজারে। তাই সুযোগ বুঝে ডিমের দাম বাড়িয়েছেন খামারিরা। তাই বাজারেও বেড়েছে ডিমের মূল্য।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্যার প্রভাবে সব ধরনের সবজির মূল্য বেড়েছে। এ সময় প্রতিকেজি সব ধরনের সবজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। বেগুন, শসা, টমেটো, গাজর, ঝিঙ্গা, ঢেড়স, চিচিঙ্গা ও ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া কাঁকরোল, পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারে বরবটির কেজি ৬০ থেকে ৭০, কচুরলতি ৬০ টাকা। প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।