শেরপুরকে এগিয়ে নিতে ও জনসেবায় শেরপুরকে আরো সমৃদ্ধ করতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন শেরপুরের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ। তিনি বলেন, শেরপুর জেলা প্রশাসনের সকল সেবা আমি উন্মুক্ত করতে চাই। কোন কাজের জন্য যাতে কষ্ট করে কাউকে আমার দপ্তরে না আসতে হয়, আমি সে চেষ্টা করছি। শেরপুরকে আরো সমৃদ্ধ করতে ও এগিয়ে নিতে আমি জেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতা চাই।
জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ বলেন, শেরপুরে এসেই ভূমি সেবাসহ সকল সেবা অনলাইন ও অটোমেশন করার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছি। একে একে প্রতিটি পরিসেবা ডিজিটাল ও অটোমেশন করতে চাই। ইতোমধ্যে চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সকল সেবা অটোমেশন করা হয়েছে। যেকোন প্রান্ত থেকে এই ইউনিয়নের খতিয়ান থেকে শুরু করে যেকোন তথ্য সেবা গ্রহীতারা এখন অনলাইনেই পাবেন।
তিনি বলেন, জেলার যেকোন বিষয়ে আমাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আমার অনুরোধ রইলো। তরুণদের পাশাপাশি যারা জেলার ইতিবাচক বিষয় নিয়ে কাজ করছেন, তাদের জন্য আমার সহযোগিতা সবসময় থাকবে। পর্যটন সমৃদ্ধ শেরপুরকে আরো পরিচিত করতেও সবার সহযোগিতা চাই। জনসেবায় প্রশাসন, এই স্লোগানে আমি ও আমার দপ্তর কাজ করতে চাই।
মো. মোমিনুর রশীদ ২১জুন শেরপুর জেলা প্রশাসনে নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি এর আগে ঢাকা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মজীবনে তিনি মাঠ পর্যায়ে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চার্জ অফিসার (ঢাকা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো: মোমিনুর রশীদ ২২তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য। তিনি শিক্ষা জীবনে এসএসসি হতে মাস্টার্স পর্যন্ত প্রতিটি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বিভাগ প্রাপ্ত। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ফরেস্ট্রিতে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মাস্টার্সে ডিস্টিংশনধারী। এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানেও তিনি ৭০% এর অধিক নম্বর পেয়ে মেরিট উপাধি লাভ করেন।
তিনি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিষয়ের মধ্যে এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার, এমআইএস, জিআইএস উল্লেখযোগ্য। তিনি ব্যক্তিগত ও চাকুরী ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ইতোমধ্যে ভারত, বাহরাইন, সৌদিআরব, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেছেন।
২০১৮ সনে তিনি ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের অধীনে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের হতে জাতীয় ইনোভেশন পুরস্কার লাভ করেন ২০২০ সনে। অন্যদিকে একই বছরে অনলাইন ভূমি জরিপ সফটওয়্যার উদ্ভাবনের মাধ্যমে সারাদেশের ভূমি জরিপ কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য ‘ই-গভর্নেন্স (নাগরিক সেবায় বিশেষ অবদান)’ ক্যাটাগরিতে তিনি ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরস্কার’ লাভ করেন।