শেরপুরে শীতকালীন সবজি চাষ করে বেশ লাভবান হয়ে থাকেন চাষিরা। জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে সদর, শ্রীবরদী,নকলা উপজেলা সবজিক্ষেত হিসেবে পরিচিত।
শীত এলেই বাজারে মিলে শীতকালীন নানা ধরনের সবজি। তাই সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন শেরপুরের চরাঞ্চলের কৃষকরা। অধিক লাভের আশায় সবজি চাষে ক্ষেতের পরির্চযা নিয়ে কৃষকদের যেন দম ফেলার সময় নেই।
এদিকে, নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার জমিতে বালি’র পরিমাণ বেশি থাকায় শেরপুরের ধান চাষ খুব একটা ভালো হয়না। ফলে ধান চাষ আগ্রহ হারাচ্ছে স্থানীয় কৃষক। খানিক লাভের আশায় শীতকালীন সবজি চাষে বেশি ঝুঁকছে শেরপুর সদরের চরাঞ্চলের চাষিরা।
এসব ক্ষেতে সাধারণত ফুলকপি, বাধাকপি, বেগুন, শিম, টমেটো, কাঁচামরিচ, মুলা, করলা, লাউ, ঢেঁড়শ, গাজর, পটল, লালশাক, পালংশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হয়ে থাকে।
সদর উপজেলার কামারের চরের ছাইদুর রহমান, আব্বাস আলী, মহরউদ্দিনসহ একাধিক কৃষক শেরপুর টাইমসকে জানান, শীতকালীন সবজি চাষের জন্য তিন ভাগে কাজে নামেন কৃষকরা। শীত শুরুর আগে, শীতের মাঝামাঝি এবং শীতের শেষ দিকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.মুহিত কুমার দে বলেন, ইতিমধ্যে শেরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে।
সবজির বাম্পার ফলনের আশায় নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন, কৃষি প্রণোদনা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।