কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় দেড় বছর পর খুলেছে স্কুল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুদে শিক্ষার্থীরা ফিরেছে তাদের প্রিয় স্কুলে। কিন্তু কোভিড সংক্রমণের আতঙ্ক কিন্তু এখনো সবার মনে গেঁথে আছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে আছে শঙ্কা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।
স্কুলের রুটিনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতেও সময় লাগছে শিশুদের। পাশপাশি হাঁচিকাশি শিষ্টাচার, নিরাপদ দূরত্ব ও মাস্ক পরায় সব সময় সতর্ক থাকতে হচ্ছে তাদের। শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে খাবারের ব্যাপারে বাড়তি নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ শিশুদের দীর্ঘ সময় স্কুলে থাকতে হয়। স্কুলে যাতে তাদের পুষ্টির চাহিদার কোনো ঘাটতি না হয় সে জন্য বাসা থেকে পুষ্টিকর টিফিনের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে তারা স্কুলের বাইরে থেকে ঝালমুড়ি, ফুচকা কিংবা ফাস্ট ফুড জাতীয় কিছু খেয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
স্কুল পড়ুয়া শিশুদের পছন্দ-অপছন্দের খাবার থাকতেই পারে। তাই বলে বাজার বা দোকান থেকে কেনা খাবার টিফিনে দিতে যাবেন না। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কা থাকে। সেজন্য ঘরে তৈরি নাশতা শিশুদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত। তাই শিশুর টিফিনে এমন খাবার দিবেন, যেন ক্ষুধা মেটায়, স্বাস্থ্যকর হয় ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়ার পাশাপাশি সেটি খেয়েও আনন্দ পায়।
মৌসুমি ফলমূল রাখতে পারেন শিশুদের টিফিন বক্সে। স্ট্রবেরি, কলা, কমলা, আপেল, আঙুর, পেয়ারা, আমড়া ইত্যাদি দিতে পারেন। পাশপাশি মুরগির মাংস, ডিম ও বিভিন্ন সবজি দিয়ে রুটি বা পরোটার রোল বা শর্মাও দিতে পারেন। রাখতে পারেন ডিম ও সবজির স্যান্ডউইচ এবং দুধের তৈরি খাবার। মূলত টিফিনে তিনটি প্রধান পুষ্টি উপাদান কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট ছাড়াও প্রয়োজনীয় মিনারেলসগুলো যেন থাকে, সে দিকটাতে খেয়াল রাখুন।
একটি বিষয় সব সময় মনে রাখবেন, টিফিনে এমন খাবার দিবেন যেগুলো তাদের হজমে কোনো সমস্যা করবে না। এক্ষেত্রে গরমে দ্রুত নষ্ট হতে পারে এমন খাবার টিফিনে না দেওয়াই ভালো। এছাড়া ঝোলজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। যা টিফিনে দিচ্ছেন, সেটা পরিমাণে অল্প হোক কিন্তু পুষ্টির উপাদান বেশি থাকে, সেসব খাবার বেছে নিন। আর আপনার কোমলমতি শিশুর পছন্দের খাবার দিতে ভুলবেন না।
#ইত্তেফাক