বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ তে শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম ৩০০ নম্বর যুক্ত করা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, কারিগারি ও মাদরাসা শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাদরাসা শিক্ষার মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালক, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষের শুনানি করেন আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ চ্যালেঞ্জ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অন্তর্ভুক্ত সহকারী শিক্ষক (বাংলা) ফাতেমা রহমান, মোর্শেদা ইয়াসমিনসহ ৯ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী জানান, আবেদনকারীরা ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে এনটিআরসিএ পরীক্ষায় পাস করেছেন, কিন্তু ২০১৮ সালে নতুন করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ করা হয়। এতে বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ে ৩০০ নম্বর বাধ্যতামূলক করা হয়। এ কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।
এ আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেলেরা যখন পাস করে তখন ৩০০ নম্বর ছিল না। কিন্তু এত বছর পর এসে এ ধরনের নীতিমালা প্রণয়ন করা সংবিধানের ২৭ ও ২৯ ধারার সাথে সাংঘর্ষিক।
এ নীতিমালা (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক ইংরেজি শিক্ষকদের যোগ্যতা স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ন্যূতম ৩০০ নম্বর নির্ধারণ হয়। সুপারিশপ্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষকরা ডিগ্রি/স্নাতক কোর্স ৪০০ নম্বরের সম্পন্ন করায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে স্কুল পর্যায়ে সুপারিশপ্রাপ্তরা ৪০০ নম্বরের কোর্স করেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বলছেন, তারা ডিগ্রি সার্টিফিকেট কোর্স ৪০০ নম্বরের ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে সনদ অর্জন করেছেন। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে মেধার ভিত্তিতে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। যোগদানের পর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এমপিওভুক্তির আবেদন করেছেন। তবে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বারবার তাদের ফাইলগুলো বাতিল করছে। এর কারণ হিসেবে মাদরাসা অধিদপ্তর ৩০০ নম্বরের স্নাতক নেই বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।