শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। বাংলাদেশে শিক্ষা স্তরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার মূল ভিত্তি। একজন শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। প্রাথমিকের শিক্ষকরা শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথপ্রদর্শক। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নানা ধরনের বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার। এর মধ্যে শিক্ষকদের প্রদেয় টিফিন ভাতা অন্যতম। বুধবার (৬ অক্টোবর) একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও জানা যায়, প্রাথমিকের শিক্ষকদের মাসিক টিফিন ভাতা বাবদ ২০০ টাকা দেওয়া হয়, যা গড়ে প্রায় ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। বর্তমান সময়ে এ টাকা দিয়ে এক কাপ চা পাওয়া যায় না। প্রাথমিকের শিক্ষকদের স্কুলে যথাসময়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য হালকা নাশতা করে খুব সকালে বের হতে হয়। অনেকেই আবার নাশতা না করেই বের হয়ে পড়েন। প্রাথমিকের শিক্ষকদের ৭-৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্কুলে পাঠদান করতে হয়।
অনাহারে-অর্ধাহারে এত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করা একজন শিক্ষকের জন্য যেমন কষ্টকর, তেমনি ক্লাসে মনোযোগী হওয়াটাও অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে শিক্ষকদের টিফিন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আমাদের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। আমাদের দেশে ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোয় লাঞ্চ ভাতা বাবদ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দৈনিক ২০০ টাকা দেওয়া হয়। প্রাথমিকের শিক্ষকদের টিফিন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।
বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেধাবীরা নিয়োগ পাচ্ছেন। শিক্ষকদের হাতেই রয়েছে একটি শিক্ষিত, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার ক্ষমতা। আশা করি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টিফিন ভাতা বাড়ানোর প্রতি সুনজর দিবেন।
লেখক : মো. আশরাফুল ইসলাম, শাহবাগ, তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ