২৭৩ রানের মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। কিন্তু দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে যেখানে রানের বন্যা বয়ে যায়, সেখানে ভারতের সামনে এই ২৭৩ রান যেন একেবারেই মামুলি এক লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিলো। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা সেটাই প্রমাণ করলেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পুরো ১৫ ওভার হাতে রেখে ৮ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিলো ভারত। ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করার পর ৮৪ বলে ১৩১ রান করে আউট হন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি।
প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো স্বাগতিকরা। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান সংগ্রহ করে তারা।
জবাবে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব বইয়ে দিতে থাকেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা এবং ইশান কিশান। রোহিত ঝোড়ো গতিতে ব্যাট করলেও ইশান কিশান একটু রয়েসয়ে ব্যাট করেন। দু’জন মিলে ১৮.৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ১৫৬ রান।
এ সময় রশিদ খানের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ তুলে দেন ইশান কিশান। ইবরাহিম জাদরানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার আগে করেন ৪৭ বলে ৪৭ রান। তার আগেই ৬৩ বলে বিশ্বকাপে নিজের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত। ৬টি সেঞ্চুরি নিয়ে এমনিতেই সবার শীর্ষে ছিলেন তিনি। এবার যোগ করলেন আরও একটি।
এরপর বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ৮৪ বলে ১৬ বাউন্ডারি এবং ৫ ছক্কায় ১৩১ রান করে আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা। ৫৬ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি। স্রেয়াশ আয়ার অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ২৩ রানে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি ৮৮ বলে করেন ৮০ রান। ৬২ রান করেন আজমতুউল্লাহ ওমরজাই। এছাড়া ২২ রান করেন ইবরাহিত জাদরান, ২১ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ।