গত মৌসুমে প্রায় এক যুগ পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে মৌসুমটি ভালো না কাটায় নতুন মৌসুমে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সপ্রতিভ ছিলেন রোনালদো।
তবে দলগতভাবে খুব একটা ভালো কাটেনি ইউনাইটেডের মৌসুম। গত ৩০ বছরের মধ্যে নিজেদের সর্বনিম্ন ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ হয়ে লিগ শেষ করেছে তারা। যে কারণে ২০২২-২৩ মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে পারবে না ক্লাবটি, খেলতে হবে ইউরোপা লিগে।
মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবেন না বলেই ইউনাইটেড ছেড়ে যাওয়ার জন্য মনস্থির করেছেন রোনালদো। আর এর পেছনে রয়েছে সময়ের আরেক সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির প্রভাব- এমনটাই মনে করেন চেলসির সাবেক ইংলিশ ফরোয়ার্ড টনি ক্যাসকারিনো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার নামের পাশে রয়েছে ১৪১ গোল। দুইয়ে থাকা লিওনেল মেসির গোল ১২৫টি। এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ না খেললে রেকর্ডটি মেসি ছিনিয়ে নিতে পারেন- এই ভয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা ক্লাবে যেতে চান রোনালদো, এমনটাই মনে করেন টনি।
টকস্পোর্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টনি বলেছেন, ‘রোনালদো এমন একজন খেলোয়াড়, যার সবসময় একটা ইগো রয়েছে। এর বেশিরভাগই তার নিজের ব্যাপারে। তবে সে যেসব দলে খেলেছে সবগুলোই সাফল্য পেয়েছে। তাই তাকে সবসময় টিম প্লেয়ার হিসেবেই ধরা হয়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার কিছুটা সন্দেহ হয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোনালদোর গোল ১৪১, মেসির ১২৫টি। সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ না খেলে থাকতে চায় না। কারণ সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বকালের সেরা গোলদাতা হতে চায় এবং রোনালদো আসলে এভাবেই তৈরি।’
এদিকে ইএসপিনের প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, বয়সের কাঁটা ৩৭ পেরিয়ে গেলেও রোনালদোকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী রয়েছে ইংল্যান্ডের চেলসি, জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ, ইতালির নাপোলির মতো বড় বড় ক্লাবগুলো। তাদের কাছ থেকে ভালো প্রস্তাব পেলেই বদলে যাবে রোনালদোর ঠিকানা।