গরমে প্রাণ জুড়াতে তরমুজের শরবতের জুড়ি নেই। বাইরে গাঢ় সবুজ আর ভেতরে টকটকে লাল রঙের আকর্ষণীয় এই ফলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এ ছাড়া এই গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়। তাই বাড়তি পানির চাহিদা পূরণে তরমুজের শরবতের গুরুত্ব অনেক। বিশেষ করে রোজায় ইফতারে এটি আরও বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যেভাবে বানাবেন তরমুজের জুস
উপকরণ
তরমুজ পিউরি চার কাপ, লেমন জুস এক কাপ, ঠাণ্ডা পানি চার কাপ, চিনি চার টেবিল চামচ (মিষ্টি বেশি খেলে পরিমাণে বাড়িয়ে দেবেন) বরফকুচি পরিমাণমতো।
প্রণালী
প্রথমে তরমুজের পিউরির সঙ্গে চিনি ও লেমন জুস ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর গ্লাসে তরমুজের পিউরির মিশ্রণে বরফকুচি আর তরমুজ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। তবে যাদের তরমুজ খেলে পেট খারাপ হতে পারে বা সহ্য হয় না তাদের না খাওয়াই ভালো।
চলুন জেনে নিই তরমুজের শরবতের কিছু উপকারিতা-
কিডনি সুস্থ রাখে
কিডনির জন্য বেশ উপকারি ফল তরমুজের শরবত। ডাবের পানির যে গুণাগুণ, তরমুজের শরবতেও রয়েছে সেই গুণাগুণ। কিডনি ও মূত্রথলিকে বর্জ্যমুক্ত করতে সহায়তা করে এই ফলের শরবত।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
পানিশূন্যতা জাতীয় সমস্যা প্রতিরোধ করে তরমুজের শরবত। একই সঙ্গে রক্তচাপ কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
চোখ ভালো রাখে
তরমুজের শরবতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ক্রমাগত নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে রক্তের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালী বজায় রাখে। এ ছাড়া তরমুজের শরবতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন, যা চোখ ভালো রাখে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
তরমুজের শরবত অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া প্রোস্টেট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার ও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
তৃষ্ণা মেটায়
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। রোজায় ইফতারের সময় তরমুজের শরবত খেলে সহজেই পানির তৃষ্ণা মেটানো যায়।
রূপচর্চার কাজে
তরমুজ দেহের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি আমাদের ত্বকও সুন্দর রাখে। ভিটামিন এ, বি ও সি সমৃদ্ধ তরমুজ ত্বককে সজীব করে, পাশাপাশি উজ্জ্বল ও নরম রাখে। তাই নির্দ্বিধায় এই ফলটি ব্যবহার করা যায় রূপচর্চার কাজে।
ওজন বাড়ে না
তরমুজের শরবতে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে। আর তাই এটির শরবত খেলে বেশি পরিমাণ ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করে না। যত ইচ্ছা শরবত খাওয়া যায় কিন্তু ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না।