রায়ে গায়েবি নির্দেশ আসলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা

রিজভী বলেন, জনবিচ্ছিন্ন এ সরকার খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে যতই কৌশল করুক তা সফল হবে না। তাকে শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্য জাল নথি ও ভুয়া তথ্য দিয়ে এ মামলা সাজানো হয়েছে। সরকার আইনি প্রক্রিয়ায় নয়, আওয়ামী প্রক্রিয়ায় মামলার রায় নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, যদি ন্যায় হয়, তাহলে খালেদা জিয়া সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু মামলার রায়ে কোনো গায়েবি নির্দেশ আসলে বিএনপি তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে। রিজভী জানান, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বিএনপি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ঘুঘু একবার ধান খেয়ে যেতে পারে, বার বার পারে না। প্রধানমন্ত্রী নিয়ম রক্ষার নির্বাচনের কথা বলে প্রতারণা করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার নিজের নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার করেছেন, কিন্তু বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর মামলা প্রত্যাহার করেননি। খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে বিএনপিকে ধমক দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, সহসভাপতি আবু বকর, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, শফিকুল ইসলাম বেবু, আবদুল আজিজ, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, হাসিবুর রহমান হাসিব, সাংগাঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম নুরু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।