‘রাশেদকে তুমি বাঁচতে দিও না আম্মু। রাশেদ আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছে। রাশেদ এর কারণে আমি আমার জীবন শেষ করে দিলাম। কারণ রাশেদের বাচ্চা আমার পেটে’ এমন একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী (ছদ্মনাম নদী ১৪)। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর সদর উপজেলার কুঠুরাকান্দা পশ্চিমপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকা থেকে তার মরদেহ ও একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার কুঠুরাকান্দা পশ্চিমপাড়া এলাকার ঢাকায় অবস্থানরত ব্যবসায়ী রহমতুল্লাহ’র মেয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে পূর্বপাড়া এলাকার অপর স্কুল ছাত্র রাশেদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। এক পর্যায়ে বন্ধুদের সহযোগিতায় ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। চিরকুটে লেখা অনুযায়ী, এরই মধ্যে সে অন্ত:স্বত্বা হয়ে পড়ে। এদিকে রাশেদ প্রেমের সম্পর্ককে অস্বীকার করে। এতে দিশেহারা হয়ে লজ্জায় চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করে ওই স্কুল ছাত্রী। পরে রাতেই পুলিশ তার মরদেহ ও চিরকুট উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
চিরকুটে আরও লেখা ছিলো, মৌসুমি, মেঘলা সাজেদা, আজাদ, খুশি, নিশি, শফিক মোশারফ ও ময়নালের সহায়তায় তার ও রাশেদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং এ অনৈতিক ঘটনা ঘটে। এছাড়াও রাশেদের কাকা তামজিদসহ তারা সবাই মিলে ওই স্কুল ছাত্রীর জীবনটা শেষ করে দিয়েছে বলে চিরকুটে লেখা পাওয়া যায়। তাদেরকে ক্ষমা না করার জন্য বলা হয়েছে ওই চিরকুটে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রাতেই পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীর মরদেহ ও একটি চিরকুট উদ্ধার করে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।