রাশেদ। বয়স ১৮। বাড়ি সদর উপজেলা কুঠুরাকান্দা পশ্চিমপাড়া এলাকায়। তার বিরুদ্ধে ২০০০সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/০৩৯(১)/০(ক)/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আর এতেই হণ্য হয়ে রাশেদকে খুঁজছে পুলিশ।
জানা যায়, সদর উপজেলার কুঠুরাকান্দা পশ্চিমপাড়া এলাকার ঢাকায় অবস্থানরত ব্যবসায়ী রহমতুল্লাহ’র মেয়ে (ছদ্ম নাম নদী ১৪) ওই এলাকার স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় রাশেদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে বন্ধুদের সহযোগিতায় ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলে মেয়েটি অন্ত:স্বত্বা হয়ে পড়ে। অন্ত:স্বত্বার খবর পেয়ে রাশেদ হঠাৎই বদলে যায় এবং প্রেমের সম্পর্ককে অস্বীকার করে। এতে করে দিশেহারা হয়ে লজ্জায় চিরকুট লিখে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করে ওই স্কুল ছাত্রী। পরে রাতেই পুলিশ তার মরদেহ ও চিরকুট উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
উদ্ধার চিরকুটে লেখা ছিলো, ‘রাশেদকে তুমি বাঁচতে দিও না আম্মু। রাশেদ আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছে। রাশেদ এর কারণে আমি আমার জীবন শেষ করে দিলাম। কারণ রাশেদের বাচ্চা আমার পেটে। আমাদের সম্পর্ক মৌসুমি, মেঘলা সাজেদা, আজাদ, খুশি, নিশি, শফিক মোশারফ ও ময়নালের সহায়তায় গড়ে উঠে। এছাড়াও রাশেদের কাকা তামজিদসহ তারা সবাই মিলে আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে। তাদেরকে ক্ষমা না করার জন্য আমার কসম দিলাম।’
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা রাশেদকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। যেকোন মুহুর্তে রাশেদকে আইনের আওতায় আনা হবে।’