রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে, প্রতিহিংসা নয়। তাই এখন থেকে রাজনীতিকে রাজনীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। কোনোভাবেই তা যেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে না পৌঁছে এমন কথাগুলো বলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আতিউর রহমান আতিক ।
তিনি আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের চকবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের এক সভায় দীর্ঘদিন বাইরে থাকা জেলা আওয়ামীলীগের একাংশের নেতাদের উপস্থিতিতে এসব কথা বলেন। তিনি মতভেদ-বিভেদ ভুলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন-ভিশন বাস্তবায়নে সকলেই ঐক্যবদ্ধ সহাবস্থানে থাকার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপির সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের ওই সভায় বিনা নোটিশে হাজির হন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারসহ দীর্ঘদিন বাইরে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ।
ওইসময় তারা দীর্ঘদিন তাদের সভার নোটিশ না দিয়ে বাইরে রাখার বিষয়ে ব্যাখ্যা দাবি করলে উপস্থিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রের মৌখিক নির্দেশনার ইঙ্গিত দিলেও বিতর্কে না বাড়িয়ে অতীতের দ্বিধা-দ্বন্দের অবসান ঘটিয়ে এখন থেকে একসাথে ও একযোগে কাজ করার আহবান জানান। সেইসাথে তারা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে দলের প্রতিটি পর্যায়ে ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত করে সর্বোচ্চ ঐক্য প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অন্যদিকে তার ওই আহবানে সাড়া দিয়ে হুইপ আতিককেও ব্যক্তিগত বিষোদগার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানুসহ অন্যান্যরা সহমত পোষণ করলে সভায় এক ভিন্ন পরিবেশ তৈরি হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য মোঃ খোরশেদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির আলী সরকার, সাধারণ সম্পাদক, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল কাশেম জিপি, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবু, নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সরকার গোলাম ফারুক প্রমুখ।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের ৭১ জনের মধ্যে ৫৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ওইসময় শেরপুরের জনসংখ্যা অনুপাতে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদ থেকে ৬৩ জন কাউন্সিলর এবং প্রতিটি উপজেলা/শহর ইউনিট থেকে সর্বমোট ২৫০ জন ডেলিগেট নির্বাচনসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বিস্তৃত কর্মসূচি পালনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।