:সাবিনা সিদ্দিকী শিবা:
আজ আমি খুব সুক্ষ্মভাবে স্কুল লাইফের একটা ঘটনা তুলে ধরছি।একদম সত্যি কথা কোন ভেজাল নেই। তখন আমি এস এস সি পরীক্ষায় টেস্ট পরীক্ষার্থী। আমার জীবনের সবচেয়ে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য ইংরেজি সেকেন্ড পার্ট যে কে আবিষ্কার করলো আল্লাহপাক জানে। আমাকে যদি বানরের তৈলাক্ত বাঁশের অংক নিয়ে বসিয়ে দিতো তবুও ডাঙ্গায় পড়া মাছের মতো এতো খাবি খেতাম না। যতটা খাবি খেতাম ইংরেজি সেকেন্ড পার্ট পড়তে। তো যাই হোক।টেস্ট পরীক্ষায় ভালোই দিতে ছিলাম হঠাৎ এসে জমের মতো ধাক্কা দিলে ইংরেজি সেকেন্ড পার্ট পরীক্ষা। এই ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র আমি জম্মের ভয় পাই।ক্লাস টির্চার এসে পরীক্ষা খাতা দিতেই আমার হার্টবিট উল্কাপিণ্ড মতো উড়ন্ত গতিতে দৌড়াদৌড়ি করলে লাগলো। কোন মতো নাম রোল নং লেখা শেষ করলাম। আর যা পারি। পাশ মার্ক উঠাতো দূরে থাক। বিশ মার্কও উঠবেনা।আগে পরীক্ষায় পাশ মার্ক ছিলো ৩৩। আমার এখন কি করার উচিৎ বুঝতে পারছিনা।কলমের ক্যাপ মনে হচ্ছে গেন্ডারি।চাবাতে চাবাতে রফাদফা শেষ।তবুও একটা প্রশ্নের উত্তর মনে আসছেনা।
হঠাৎ দেখালাম পরীক্ষায় গার্ড দেওয়ার জন্য আমাদের একজন শিক্ষক পরলো যার নাম এখন উল্লেখ করা যাবেনা। সে এখন সহিসালামতে জীবিত আছেন। এবং জ্ঞান টনটনে প্রখর। তাকে দেখে আমার মাথায় বদ মতলব ঘুরতে লাগলো। তো এক খন্ড কাগজ এম ভাবে খাতার পাশে রাখলাম যাতে স্যার দেখতে পারে। আর বসে বসে উষ্কখুষ্ক করতে লাগলাম।কারণ আমি সদা সত্যি কথা কই।
স্যারের দৃষ্টিতে পড়ার জন্য। আল্লাহ রহমতে কিছুক্ষণ এর মধ্যে আমার কাজ হাসিল হলো।স্যার কঠিন দৃষ্টিতে আমার কাছে এসে বলল। কিরে শিবানী তুই নকল করছিস কেন? বলেই কাগজটা নিয়ে পড়তে লাগলো।মুহূর্তে স্যার আমার দিকে তাকিয়ে লজ্জা মাথা নত করে আমাদের ক্লাসের সেকেন্ড রোল ছাত্রী কে বললো, বিনু শিবাকে সব দেখাও তো। তুমি কি লিখেছো।
বিনুও স্যারের কথা অবাধ্য হতে পারেনি। আল্লাহ রহমতে পুরো একশত মার্কফুল এন্সার দেখিয়ে দিয়েছে, আমার তো জমের দরজা থেকে ফিরে আসার আনন্দে মন মাতোয়ারা। ডেম কেয়ার ভাব নিয়ে হল থেকে বেরিয়ে গেলাম খাতা জমা দিয়ে, বাহিরে এসে বিনু আমাকে ধরলো, এই শিবা তোর কাগজে কি লেখা ছিলো যে স্যার আমাকে সব দেখাতে বললো? সত্যি করে বলতো?
আমিও গর্ব করে বললাম লেখা ছিলো,
“স্যার আপনার আর বিনুর মধ্যে যে প্রেম চলছে।সেদিন কমন রুমে বিনুকে কিস্ করলেন আমি দেখেছি, আমি কি সবার কাছে বলে দিব?
বেস্ট আর কিছু বলা দরকার নেই। বাকি পরীক্ষা আমার মহা আনন্দে দেয়ার সৌভাগ্য হলো বিনুর কারণে,,,
আমার মাথায় কই থেকে এতো বুদ্ধি আসলে এখনও ভাবি,,,