কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, রক্ত যদি স্বাধীনতার দাম হয় তাহলে বাংলাদেশ বেশি দামে সেই স্বাধীনতা কিনেছে। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছরে দেশ যেভাবে আগানোর কথা ছিল সেভাবে আগায়নি। দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কত লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন সেই হিসাব খালেদা জিয়া জানেন না। এমনকি ৩০ লাখ মানুষ যে মারা গেছেন এটাও তিনি মানেন না। যুদ্ধের সময় যারা মা-বাবা হারিয়েছেন তারাই স্বাধীনতার মর্ম বুঝেন।
৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষিমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বনকুড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানীরা তাদের স্বার্থের জন্য বৃটিশীদের পা চাটেন। কিন্তু বাঙালীরা লড়াকু জাতি তারা পা চাটেন না, লড়াই করে। যুদ্ধের সময় খান সেনারা মৃত বাঙালীদের দেহের উপর দিয়ে ট্র্যাংক চালিয়ে রক্তের বন্যা বইয়েছেন। এ সময় যারা জিবীত ছিল তাদের দিয়ে কবর খুড়িয়ে মৃতদের কবর দেওয়ান। পরক্ষণে খান সেনারা হাসতে হাসতে জিবীতদের ব্রাশফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ৪০ লক্ষ টন ও ২০০৯ সালে ২৬ লক্ষ টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে আমরা ক্ষমতায় বসি। এখন আল্লাহর রহমতে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হয়েছে। আমরা নেপালের ভুমিকম্পের সময় ও শ্রীলংকায় সাহায্য পাঠিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব অসহায়দের কথা চিন্তা করে অভাবের সময় প্রতিজনকে ৫ মাস ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছেন।
তিনি দেশের জন্য যে কোন চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন। মন্ত্রী বলেন, ২১ আগষ্ট শেখ হাসিনাকে র্দুবৃত্তরা প্রায় মেরেই ফেলেছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে গ্রেনেডের পিন না খুলতে পারায় তিনি প্রাণে বেচেঁ যান। বিএনপির সময় উন্নয়ন না হয়ে যে গিট লেগেছিল সেই গিট খুলে খুলে শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে
হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি, কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আশরাফ উদ্দিন, নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মুকলেছুর রহমান রিপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল রহমান, আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আছমত আরা আছমা প্রমুখ। এদিন কৃষিমন্ত্রী ১২ টি ইউনিয় ও একটি পৌর সভার ২১৭ টি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য ফুটবল, ভলিবল, দাবা ও অন্যান্য ক্রীড়া সামগ্রী বিতরন করেন।