অভিনয় জগতে এসে অনেকেরই মা-বাবার দেওয়া নাম বদলে যায়। এমন ঘটনা হলিউড, বলিউড, টলিউড সব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই আছে। এমনকি বাংলা সিনেমার জগৎ ঢালিউডেও। মান্না, শাকিব খান, শাবনূর, পরীমনিসহ আরও অনেকে আছেন এই তালিকায়।
এর মধ্যে কেউ কেউ নিজেরাই তাদের নাম বদলে অভিনয়ে এসেছেন, আবার কেউ কেউ অভিনয়ে আসার পর পরিচালক-প্রযোজকদের প্রস্তাবে নাম পাল্টে ফেলেছেন। পরে সেই নামেই পরিচিত হয়েছেন। এমন প্রস্তাব এসেছিল অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতির কাছেও।
একটা সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছিলেন ‘মায়া: দ্য লাস্ট মাদার’ অভিনেত্রী। জ্যোতি জানান, একটি বাণিজ্যিক সিনেমার পরিচালক তাকে নাম বদলাতে বলেছিলেন। কিন্তু রাজি হননি তিনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘যে নাম সার্টিফিকেটে, সেটা বদলানোর পক্ষপাতী আমি নই।’
তবে এই অভিনেত্রীর নাম নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। অভিনয় জগতে তিনি পরিচিত জ্যোতিকা জ্যোতি নামে। উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, তার পুরো নাম জ্যোতিকা পাল জ্যোতি। এটা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন জ্যোতি। আসলে তার নাম কী? নামের অর্থই বা কী?
ওই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘জ্যোতিকা শব্দের আক্ষরিক অর্থ ঠিক নেই। তবে জ্যোতি শব্দের অর্থ আলো। আমার নাম আসলে জ্যোতিকা। আমার দাদি রেখেছিল এই নাম। জ্যোতিকা বলতে আলোকিত বোঝায়।’
জ্যোতি বলেন, ‘লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক’ যখন হয়েছিলাম, তখন তারা জ্যোতিকা পাল জ্যোতি লিখেছিল। তারপর অনেকেই ছোট করে কেউ জ্যোতিকা, কেউ জ্যোতি লিখতো। এখন সবাই জ্যোতিকা জ্যোতি বলে ডাকেন। আমার আসল নাম জ্যোতিকা।’
এই অভিনেত্রী জানান, তিনি ১২ বছর ধরে অভিনয় জগতে রয়েছেন। পড়াশোনা করতে করতেই ‘বহুরূপী’ নামে একটি নাটকে তিনি যুক্ত হন। যদিও থিয়েটারে নিয়মিত কাজ করার সময় পাননি। কাজ করেছেন বেশ কিছু সিনেমায়। যার মধ্যে ‘নন্দিত নরক’-এ অভিনয়ের জন্য বহু মানুষের প্রশংসা পেয়েছেন।
এছাড়া ‘অনিল বাগচীর একদিন’ সিনেমাটিও একাধিক বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। জ্যোতি জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি সবসময় বেছে বেছে কাজ করার সুযোগ পাননি। অনেক চরিত্র পছন্দ না হওয়া সত্ত্বেও তিনি করেছেন। তবে সিনেমার ক্ষেত্রে তিনি বরাবরই বেছে কাজ করার চেষ্টা করেন।
অভিনেত্রীর দাবি, ‘একসময় আমার কাছেও প্রচুর বাণিজ্যিক ছবির প্রস্তাব এসেছে। তবে আমি বেছে বেছে কাজ করেছি। বিশেষ করে ২০০৭-২০০৮ সালে বাংলাদেশের সিনেমায় বিশেষ রুচিসম্মত কাজ হচ্ছিল না। সে কারণে অনেক সময়ই আমি ভালো সিনেমার প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করেছি। তখন নিয়মিত নাটকে কাজ করেছি।’
২০০৪ সালে ‘লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক’ প্রতিযোগিতায় সেরা ১০-এ ছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বিজ্ঞাপন ও নাটক দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছেন। ২০০৫ সালে ‘আয়না’ সিনেমাটির মাধ্যমে পা রাখেন চলচ্চিত্রে।