বিমান পরিবহন সেবায় নতুন ধারার বিমান আনতে চাচ্ছে মার্কিন বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ও আমেরিকান এয়ারলাইন্স। এবার তারা গতানুগতিক কিছু করতে চাচ্ছে না। পাইলটবিহীন যাত্রীবাহী বিমান চালুর চিন্তা করছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
বিমান পরিবহন ব্যবস্থার এমন উন্নয়নের জন্য কাড়ি কাড়ি ডলার খরচ খরচ করতেও আপত্তি নেই সংস্থাগুলোর। প্রাথমিকভাবে বিমানগুলো হবে ছোট আকারের ইভিটিওএল (ইলেক্ট্রিক ভার্টিক্যাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং) ধাঁচের। এগুলো অল্প কয়েকজন যাত্রী নিয়ে আকাশ পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।
আরো সহজ করে বললে, বিমানগুলো হবে এয়ার ট্যাক্সির মতো। এসব বিমানে পাইলট ছাড়া পরিচালনা করার ফিচার যুক্ত করা কিছুটা হলেও সহজ হবে। তবে পাইলটের জন্য বিমানগুলোতে আসন রাখা হবে। শুরুর দিকে যাত্রীবাহী বিমানগুলোর চালকের আসন ফাঁকা থাকবে না। কারণ প্রথম দিকে যাত্রীরা অস্বস্তি বা ভয় পেতে পারেন।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স এরই মধ্যে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভার্টিক্যাল এরোস্পেসকে আগাম ফরমায়েশ বাবদ ১ বিলিয়ন ডলারও দিয়ে রেখেছে। তারা ২৫০ ইভিটিওএল বিমানযান বানাবে। এসব বিমানের সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের কাজ করছে এরোস্পেস জায়ান্ট হানিওয়েল।
হানিওয়েল এয়ারস্পেসের চালকবিহীন বিমান ব্যবস্থা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিফেন ফাইমেট জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে এসব বিমান প্রস্তুত করে সরবরাহ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি এই সময়ের মধ্যে সম্ভব নাও হয়, তাহলে চলতি দশকের শেষের দিকে সম্ভব হবে!
চালকবিহীন ছোট বিমানের (ইভিটিওএল) প্রতি অনেক প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানান স্টিফেন ফাইমেট।