আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বাদ দেবে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রার্থী বদলের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া বিদ্রোহী ও বিতর্কিতদের দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তেও অটল দলটি।
গতকাল সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের মুলতবি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে ময়মনসিংহ বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বৈঠক আবারও মুলতবি করা হয়েছে। আজকের বৈঠকে চট্টগ্রাম ও বাকি বিভাগগুলোর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিম লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য রশিদুল আলম, সভাপতিম লীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
গতকালের বৈঠকের পর খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলা সদরের বিছালী ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী পরিবর্তন করে এসএম আনিসুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত রোববার আরও দুটি ইউপিতে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়। দলীয় সূত্র জানায়, যারা অন্তত ১০-১২ বছর আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, তাদেরকেও মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকায় গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরের শিবচরের কিছু ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দলের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক শুরু হয়। প্রথম দিনের বৈঠকে জাতীয় সংসদের সিরাজগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনসহ দুটি উপজেলা ও ১০টি পৌরসভা এবং প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে স্থগিত হওয়া দুটি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়।
সুত্রঃ দৈনিক সমকাল