ময়মনসিংহের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্কের বৈশাখী মঞ্চ। কেউ হাজির হয়েছেন শেরপুর জেলা থেকে, কেউ জামালপুর, অনেকে আবার নেত্রকোণার। বিভাগের চার জেলার হলেও তাদের পরিচয় সবাই এসএসসি ১১ ও এইচএসসি ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী। ঈদ আনন্দে প্রাণের স্পন্দনে বন্ধুত্বের বন্ধনে মিলিত হয়েছেন তারা।
ময়মনসিংহ বিভাগের ১১-১৩ ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীর বন্ধন সুদৃঢ় করতে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আয়োজন করা হয় এ মিলনমেলার। বৃহস্পতিবার (৫ মে) দিনব্যাপী প্রথমবারের মতো এ আয়োজনে অংশ নেন শতাধিক সহপাঠী।
বন্ধুদের সঙ্গে একটি দিন নিজেদের মতো কাটানোর এ আয়োজনে ব্যাচের সব সদস্যের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সবার কাছেই দিনটি ছিল অন্য সব দিনের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। বন্ধুকে কাছে পেয়ে বাঁধভাঙা প্রাণের উল্লাসে মেতে উঠে সবাই। জমে উঠে হাসি-ঠাট্টা, গল্প আর আড্ডা। মুহূর্তটা স্মরণীয় করে রাখতে গল্পের তালে সঙ্গে সেলফিও।
একসঙ্গে ভূরিভোজন, নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, কৌতুক ইত্যাদির কমতি ছিল না। শিবলু, জুঁইয়ের একক ও দ্বৈত গান, পূজা পালের নাচসহ সবার স্টেজ পারফরম্যান্স ছিল দারুণ উপভোগ্য। শুধু ব্যাচের বন্ধুরাই নয়, অনুষ্ঠানে ভিড় জমান পার্কে আসা দর্শনার্থীরাও। সন্ধ্যায় র্যাফেল ড্র ও কেক কাটার মাধ্যমে শেষ হয় এ আয়োজন।
পূজা পাল নামের ১১-১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করে একটি দিন কাটিয়েছি। আগামীতে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।
রিয়া হায়দার নামে ১১-১৩ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, জীবনচলার পথে যারা মনের মাঝে আত্মস্থ হয়, তারা স্কুল-কলেজজীবনের বন্ধু। তাদের কখনো ভোলা যায় না। হয়তো ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হয়ে ওঠে না, কিন্তু বন্ধুরা গেঁথে থাকে অন্তরে। বাস্তবে সচরাচর দেখা না মিললেও স্মৃতির পাতায় আজীবন রয়ে যায় অমলিন।
লিপন সরকার নামে আরেকজন বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগে যারা আমাদের ব্যাচের বন্ধু রয়েছে, তাদেরকে সংগঠিত করার জন্যই ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলেছিলাম। আমাদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ও বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করতে অনেকদিন ধরেই এমন একটা মিলনমেলা করার চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।