ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে দাদনের ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করার পর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের আফছার উদ্দিনের ছেলে।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগী ব্যবসায়ি আবু নাসের সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু নাছের সরকার বলেন, জলিলের রোষানলে পরে আমরা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। নয় মাস কারাভোগ করেছি। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। গ্রেপ্তার ও হামলার ভয়ে কয়েক বছর ধরে আমরা বাড়ি ছাড়া।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের ২০ মে চেকের মাধ্যমে ব্যবসার প্রয়োজনে আব্দুল জলিলের কাছ থেকে ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ধার নেয়া হয়। পরবর্তীতে ১ লাখ টাকা নিজ হাতে এবং সোনালী ব্যাংকের শিবগঞ্জ শাখার মাধ্যমে লেনদেন শেষ করা হয়। এরপর জলিল তার সাথে লেনদেনকারী কয়েকজনের বিরুদ্ধে করা চেকের মামলায় আমাকে মিথ্যা সাক্ষি দিতে বললে অসংগতি প্রকাশ করি। রাজি না হওয়ায় তার কাছে সিসি জমা দেবার সেই চেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা তার নিজের হাতে লেখে আমার বিরুদ্ধে মামলা দেয় এবং এই মিথ্যা মামলায় আমি ৯ মাস কারাভোগ করি। আমি দীর্ঘ ১০ বছর যাবত এই মামলার কারনে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। এমতাবস্থায় পরিবার নিয়ে নিয়ে কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যবসায়িক কাজ ও অভাবের তাড়নায় আব্দুল জলিলের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে সুদে টাকা নেই। সময় মত টাকা পরিশোধ করলে জলিলের কাছে থাকা চেকে নিজের মত টাকার অংক বসিয়ে ২০ জনের নামে ৬ কোটি টাকার মামলা করেছেন।
এসময় দাদন ব্যবসায়ির রোষানলে সর্বশান্ত ব্যবসায়ি নাজিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, ডা. আব্দুল গফুর, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল লতিফ ও সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।