ছেলে শিশুর জন্ম দিলেও হাসপাতাল ছাড়ার সময় পাপিয়া আক্তারের কোলে তুলে দেয়া হয় একটি মেয়ে নবজাতককে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটেছে এ ঘটনা।
ওই মেয়ে নবজাতকের বাবা-মারও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনা শেষ পর্যন্ত মামলায় গড়িয়েছে। কোতোয়ালী মডেল থানায় সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেছেন হাসপাতালের প্রধান সহকারী খলিলুর রহমান।
গত ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন শহরতলীর বাদেকল্পা এলাকার বাসিন্দা পাপিয়া। ওইদিনই তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্মের পর থেকেই শিশুটি অসুস্থ থাকায় হাসপাতালের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আইসিইউতে রাখা হয়।
আট দিন পর সোমবার হাসপাতাল ছাড়ার সময় তার কোলে মেয়ে নবজাতক দেয়া হয়। এতে পাপিয়া ও তার স্বামী মনু মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেক খোঁজাখুজি করেও তাদের ছেলেকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ জানিয়েছেন, মেয়ে শিশুটির ডিএনএ টেস্ট করানো হতে পারে।