চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ১৭ জনকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অতিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ ইকবাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ওই নেতাদের বহিষ্কারের বিষয়টি সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ ইকবাল নিশ্চিত করেন।
মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ ইকবাল জানান, দলের সিদ্ধান্ত না মেনে মোহনগঞ্জের সাতটি ইউনিয়নে অন্তত ১৭ জন বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে তাদেরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সাময়িক বহিস্কার হওয়া নেতারা হলেন, ১নং বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়নের মঈন উদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেন। ২নং বড়তলি বানিয়াহারি ইউনিয়নের মো. আজিজুর রহমান, মো. হাসিম উদ্দিন, মো. রায়হান সিদ্দিকি ও মো. সোহাগ। ৩নং তেতুলিয়া ইউনিয়নের মো. আবুল কালাম আজাদ, ৪নং মাঘান সিয়াধানের মো. সারোয়ার হোসেন, আ হ ম শহিদুল হক, মো. নজরুল ইসলাম খান ও মির্জা শামছুল আলম। ৫নং সমাজ সহিলদেও ইউপির নুর মোহাম্মদ খান। ৬নং সোয়াইর ইউনিয়নের মো. হাবিবুর রহমান ও জহিরুল হক চৌধুরী। ৭নং গাগলাজুর ইউনিয়নের মো. লিটন তালুকদার, মাসুদ আহমেদ ও মো. আরিফুল ইসলাম।
শহিদ ইকবাল আরও জানান, সাময়িকভাবে বহিষ্কার নেতাদের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে দলীয় প্রার্থীর হয়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সরাসরি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এজন্য তাদেরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে একজন তেতুলিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মো. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘বহিষ্কার নিয়ে বিচলিত নই। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।