‘মেয়ে না বাঁচলে আমিও বাঁচবোনা স্যার’ এ আকুঁতি নিয়ে আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে শেরপুর জেলা হাসাপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে দাড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যয়নরত দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাসিমার বাবা দরিদ্র ভ্যান চালক নুর ইসলাম।
নাসিমা খাতুন সারাদেশে করোনা আতংকে তার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার নন্নী গ্রামে তাদের বাড়িতে আসার পর গত দুইদিন থেকে অসংলগ্ন কথাবার্তা শুরু করে। সেইসাথে জ্বরেও আক্রান্ত হয়। কিন্তু তখন বিষয়টি নাসিমার বাবা-মা বুঝতে পারেনি। এরপর সোমবার (৩০ মার্চ) বিকেলে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে দ্রæত শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক বিভিন্ন টেষ্ট রিপোর্ট দেখে তার ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে স্থানীয় সাংবাদিক ও কবি রফিক মজিদের সহায়তায় এম্বুলেন্স করে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
এই সেই নাসিমা,
যে অনেক কষ্ট ও দারিদ্রেল কষাঘাত পেরিয়ে এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করার পর মেধা তালিকায় সপ্তম হয়ে গত বছর নেত্রকোনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। এসময় নালিতাবাড়ি উপজেলার সন্তান নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সচিব আব্দুস সামাদসহ অনেকের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলো। নাসিমা সুস্থ হয়ে তার বাবা-মার মুখে হাসি ফুটিয়ে আবার যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যেতে পারে এজন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছে তার মা ও বাবা।