সৃষ্টি কর্তার সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো মা-বাবার কাছে তার সন্তান। পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা যার সন্তান দেননি একমাত্র তিনিই বুঝতে পারেন এটা কি কষ্টের।
কিন্তু দুনিয়াতে এমনও কিছু মা আছে যারা তার নিজের সন্তানকে দিয়ে অত্যন্ত জঘন্য কর্ম করাতে মহা ব্যস্ত। তাদের কাছে যেন প্রিয় সন্তানের কোনো মূল্যই নেই। ওই মা গণ তাই সন্তানদের বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পিছপা হন না।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রাশিয়াতে যা শুনলে অনেকে হতভম্ব হয়ে যাবেন। তা হলো- নিজের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়ের সতীত্ব বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে রাশিয়ার এক নারী। আর এই ঘটনার ফলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো রাশিয়া জুড়ে।
বর্তমানে ১৩ বছরের ওই কিশোরী কন্যাকে সরকারি হোমে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে মেয়েটির ভালো ভাবে পরিচর্যা করার জন্য মনোবিদের পরামর্শ নেয়া হয়েছে।
দেশটির পুলিশ সূত্র মতে, ওই কিশোরীর মা ৩৫ বছরের সেই নারী রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কের বাসিন্দা। তিনি নাকি এক সময় স্থানীয় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাও জিতেছিলেন। ঘটনা চক্রে বর্তমানে তার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। ওই নারী কিছুদিন আগে তার নিজের এক জন বন্ধুর কাছ থেকে দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত চক্রের কথা জানতে পারেন। যেখানে মেয়েদের সতীত্ব নিলামে ওঠে। এরপরই ঘটনার শুরু, টাকার জন্য তার নিজের ১৩ বছরের মেয়েকে নিলাম আসরে তোলে ওই নারী বা নিষ্ঠুর মা।
জানা গেছে, রাশিয়ার পুলিশও বহুদিন ধরে এই চক্রের খোঁজ চালাচ্ছিল। এমন সময় ১৩ বছরের নাবালিকার নিলামে উঠানোর কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা।
এরপর ঘটনা মোর নেই অন্যদিকে, সেই নারীর জন্য ফাঁদ পাতা হয় গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে। যে বন্ধুর মাধ্যমে ওই নারী নিজের মেয়ের সতীত্ব নিলামে তুলেছিল তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় বলা হয়, একজন ধনী ক্রেতা পাওয়া গেছে। ১৯ হাজার ১শত ব্রিটিশ পাউন্ডের বিনিময়ে সে ১৩ বছরের মেয়ের সতীত্ব পেতে চায়। আর এর জন্য তাকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো আসতে হবে।
ব্যস হয়ে গেল, নিজের বন্ধু ও তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মস্কো চলে আসেন ওই নারী। এরপর তাকে এক নির্দিষ্ট স্থানে আসতে বলা হয়। তিনি সেখানে মেয়ের সতীত্বের বিনিময়ে টাকা নিতেই হাতেনাতে ধরা হয় ওই নারীকে। এ ঘটনায় প্রথমে সে অস্বীকার করলেও, পুলিশি জেরার মুখে নিজের দোষ অকপটে স্বীকার করে নেন ওই নারী।
মানুষ টাকার বিনিময়ে নিজের মেয়ের সঙ্গে এমনটা করতে পারেন? এই ঘটনা সবাইকে অবাক করেছে।
সম্পাদনা: এম. সুরুজ্জামান, বার্তা সম্পাদক শেরপুর টাইমস ডটকম।