কোরবানির ঈদ কেন্দ্রিক গরুর বিভিন্ন নামকরণ করা হলেও এবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাজস্থান হারিয়ানা জাতের দুটি ছাগলের নাম রাখা হয়েছে মেসি ও নেইমার।
কোরবানিযোগ্য এই ছাগল দুটির আকর্ষণ হিসেবে ফুটবল তারকাদের নামে রাখেন খামারি। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী পশুর হাটে তোলা হয় ১৮০ কেজি ওজনের মেসি ও নেইমারকে। এ সময় খামারি শাহিনুল ইসলাম ছাগল দুটির দাম হাঁকান পাঁচ লাখ টাকা। তবে হাটে কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি না হওয়ায় বাড়িতে নিয়ে যান খামারি।
গোবিন্দাসীর পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, কালো রংয়ের সাড়ে তিন ফুট লম্বা ও প্রায় তিন ফিট উচ্চতার মেসি ও নেইমার ছাগল দুটি দেখতে মানুষজন ভিড় করছেন। কেউ কেউ দামও জিজ্ঞাসা করছেন।
উপজেলার যদুরগাতি গ্রামের খামারি শাহীনুল ইসলাম জানান, এ দুটি জেলার সব চেয়ে বড় ছাগল। তিন বছর ধরে আদর-যত্নে লালন-পালন করেছি। মেসি ও নেইমারকে দেশীয় খৈল, ভুট্টা, ভুষি ও গাছের পাতা খাওয়ানো হয়েছে। দুটির ওজন ১৮ কেজি। দাম হাঁকা হচ্ছে পাঁচ লাখ টাকা। তবে হাটে মেসি ও নেইমারের কাঙ্ক্ষিত দাম ও ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি করা যায়নি।
তিনি বলেন, অনেকেই কোরবানির গরুর বিভিন্ন নাম রাখেন। ছাগল দুটি মোটা-তাজা আর দেখতেও খুবই সুন্দর। তাই ছাগল দুটির আকর্ষণ বাড়াতে তাদের নাম জনপ্রিয় বিদেশি দুই ফুটবল তারকার নামে রেখেছি। স্থানীয় হাটে বিক্রি না হওয়ায় মেসি ও নেইমারকে ঢাকায় নেওয়া হবে।
ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন দেবনাথ জানান, রাজস্থান হারিয়ানা জাতের ছাগল দুটি উপজেলায় সবচেয়ে বড়। এই জাতের ছাগল অল্পসময়ে দ্রুত বর্ধনশীল হয়। খামারিও বেশি লাভ করতে পারেন। এ জাতের ছাগল মাংসের জন্য খামারিরা লালন-পালন করে থাকেন।