লিওনেল মেসিই কি সর্বকালের সেরা? অন্তত সময়ের সেরা? যুক্তি-তর্ক চলমান। অনেকের আলোচনা থমকে যায় ট্রফিতে এসে। দেশের হয়ে এখনও বড় কোনো ট্রফি জিততে পারেননি মেসি। এবার কোপা-আমেরিকা জিতলে বিতর্কের অবসান, এমনটি ভাবা লোকের সংখ্যাও কম নয়। তবে সেই দলে নেই লিওনেল স্কালোনি। আর্জেন্টিনা কোচের চোখে, মেসি এমনিতেই সর্বকালের সেরা।
১৯৯৩ কোপা-আমেরিকার পর আর বড় কোনো ট্রফি জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। ২৮ বছরের এই দীর্ঘ ট্রফি খরার হাহাকার গত কয়েক বছরে আরও তীব্র হয়েছে যেন মেসির অপ্রাপ্তি যোগ হয়ে। বার্সেলোনার হয়ে ব্যক্তিগত অর্জনের পাশাপাশি অসংখ্য দলীয় অর্জনে ঠাসা সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার তার। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে ট্রফি জয়ের স্বাদ পাননি এখনও।
এবার কোপা-আমেরিকার ফাইনাল আরেকটি সুযোগ, আরেকবার হাতছানি আর্জেন্টিনা ও মেসির সামনে। প্রতিপক্ষ এখানে ব্রাজিল, যারা আর্জেন্টিনার সবশেষ ট্রফির পর কোপা-আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাঁচবার।
সবশেষ আসরে আর্জেন্টিনা সেমি-ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েছিল ব্রাজিলের কাছে হেরেই। ফাইনালে আর্জেন্টিনার জন্য যেমন সম্ভাবনা আছে, তাই শঙ্কাও কম নেই।
তবে ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনি জানিয়ে দিলেন, মেসিকে তিনি ট্রফি দিয়ে মাপেন না।
“জয় হোক বা হার, সে তার পরও সর্বকালের সেরা ফুটবলার। এটা প্রমাণ করতে তার কোনো ট্রফির প্রয়োজন নেই।”
ট্রফি জয়ের তাড়না তাই বলে কম নেই স্কালোনির। তবে সেটা শুধু মেসির জন্য নয়।
“অবশ্যই আমরা জিততে চাই। জিততে চাই আমাদের জন্য, আমাদের মানুষের জন্য এবং এতদিন ধরে আমরা যারা একসঙ্গে আছি ও সুরক্ষা-বলয় না ভাঙায় মনোযোগ ধরে রাখছি, সবার জন্য।”
শেষ পর্যন্ত জিততে না পারলেও তাতে দুনিয়া ভেঙে পড়বে না স্কালোনির জন্য। আর্জেন্টিনা কোচের মতে, কোভিড মহামারীর সময়টা বদলে দিয়েছে অনেকের দৃষ্টিভঙ্গিই।
“ এটা ফাইনাল ম্যাচ, সবাই জানে এটার মানে কী। ফুটবলারদের কাছে গিয়ে এটি বারবার বলার প্রয়োজন নেই। আর সত্যি বলতে, গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি, দিনশেষে ফুটবল অনেকটাই গৌণ (জীবনের কাছে)। এই ৯০ মিনিট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ওরা (ফুটবলাররা) জানে, এটির পরও জীবন থমকে থামবে না।”
অনেক ইতিহাসের স্বাক্ষী রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ৬টায় শুরু হবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার এই ফাইনাল।