জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২০২০ সালে ঘোষিত মুজিববর্ষে শেরপুর জেলায় ১ লাখ বৃক্ষরোপন করা হবে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বছরব্যাপী জেলার বিভিন্ন স্থানে এসব বৃক্ষরোপন করা হবে।
প্রত্যেক উপজেলা চত্বরে নির্মাণ করা হবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছাড়াও জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হবে। তাছাড়া ১০০ শিক্ষিত বেকার যুবককে ফ্রি ল্যান্সার প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরব্যাপী সেমিনার করা হবে এবং প্রতিমাসে দুইটি করে উদ্দীপনা মুলক ক্যারিয়ার গাইড প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এছাড়া ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বছরব্যাপী গ্রামীণ খেলাধুলা, বিতর্ক, ক্যুইজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ২ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতিমুলক সভায় স্থানীয়ভাবে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ প্রস্তুতিসভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ আতিউর রহমান আতিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক এ.টি.এম জিাউল ইসলাম।
সভায় হুইপ আতিক এমপি জানান, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে শহরের থানা মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ম্যুরাল নির্মাণ করে সেই স্থানটিকে ‘বঙ্গবন্ধু স্কোয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এজন্য সেখানে ইতোমধ্যে জমি কেনা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু, পৌরসভার প্যানেল মেয়র আতিউর রহমান মিতুল, জেলা তথ্য অফিসার তাহলিমা জান্নাত, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, মুক্তিযোদ্ধা মো. সুরুজ, তালাপতুপ হোসেন মঞ্জু, সাংবাদিক শরিফুর রহমান, সঞ্জিব চন্দ বিল্টু, হাকিম বাবুল, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম বাদল, অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ শতাধিক সুধীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।