ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামীম আহমেদসহ তার চার ভাই-ভাতিজার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী রেজার পরিবার।
রেজা কুমিরগাতা ইউনিয়নের কানাই বটতলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এলাকার যুবকদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সত্রাশিয়া বাজারে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন এসে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে দেয়। পরের দিন শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে রেজা চুল কাটাতে বাজারে যায়। তাকে একা পেয়ে ইউপি সদস্য ও তার চার ভাই-ভাতিজা জোরপূর্বক মসজিদের পাশে রাস্তায় ফেলে লোহার রড় দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়।
এলাকাবাসী ঘটনা টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী রেজাকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আহত রেজা বলেন, বাজারে চুল কাটাতে গেলে আমাকে জোর করে রাস্তায় ফেলে মেম্বার, শাজাহান, ইয়াছিন, দুর্জয়, স্বপন রড ও লাঠি দিয়ে আমাকে পেটায়।
রেজার ভাই নাজমুল মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ছেলেদের কয়েকজনের মধ্যে ঝগড়া হয় পরে আবার তা মিটে যায়। কিন্তু আমার ভাই বাজারে গেলে একা পেয়ে মেম্বার ও তার চার ভাই মেরে পা ভেঙে দিয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য শামীম আহমেদ বলেন, আমি কেন তাকে মারতে যাব। এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে গত রাতে শুনেছি দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার এএসআই ইসমাইল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য আহত রেজাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। আহত রেজার ভাই নাজমুল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
#যুগান্তর