বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বাশিস) সভাপতি ও মিরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম রনিকে সাময়িক বরখাস্ত করার পেছনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এই বরখাস্ত আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। দেশব্যাপী শিক্ষক নির্যাতন ও চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে সমাবেশটির উদ্যোগ নিয়েছে বাশিস ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা সাঈদুল হোসেন সাহেদ বলেন, ‘গত ৩০ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ না দিয়ে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে মো. নজরুল ইসলামের কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্র নিয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অবিলম্বে নজরুল ইসলামসহ সকল চাকরিচ্যুত শিক্ষককে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানাই।’
বাশিস উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফজর আলীর মন্তব্য, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যখন উদযাপিত হচ্ছে তখন বাংলাদেশে শিক্ষক নির্যাতন ও চাকরিচ্যুতি চলছে। এটা খুবই দুঃজনক।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি প্রথা বিলুপ্তির দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফজর আলী বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে দুর্নীতি ও অনিয়ম মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দোষী করে নিজে পার পেয়ে যান। এজন্য কমিটির প্রথা বিলুপ্তি করা অতীব জরুরি।’
সমাবেশে শিক্ষক নেতারা উল্লেখ করেন, করোনাকালীন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষকের সম্মানী ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। তার ওপর সাময়িক বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুতি করে বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করছে একটি অশুভ চক্র।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মজিবুর রহমান, বাশিস-এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান তালুকদার, কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, মোস্তফা কামাল খান, তানিয়া আক্তার, সহকারী মহাসচিব ঝর্না আক্তার, মো. আলমগীর হোসেন তালুকদার, মো. মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মো. সামসুল হক তরফদার, সহ-অর্থ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, মো. শাহজাহান আলী, মো. লুৎফর রহমান, মো. নূরুল ইসলাম, মো. মোরশেদুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আফজাল হোসেন, খান মো. মামুন হোসাইন, রেহানা আক্তার ও আব্দুর রহিম।