শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে স্কুলে না যাওয়ায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুজাদুলকে বকাঝকা করেছিল মা রাশিদা বেগম। আর এতেই সে অভিমান করে মায়ের পড়নের শাড়ি কাপর নিয়ে ওই শাড়িতেই ঘরের ধন্যার সাথে (আড়া) ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের মধ্যমকুড়া গ্রামে। মৃত সুজাদুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের শালমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মধ্যমকুড়া সুতানাল পুকুর পাড়ের বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে সুজাদুল ইসলাম মঙ্গলবার স্কুলে যায়নি। এজন্য মা রাশিদা বেগম তাকে বকাঝকা করেন। মায়ের বকা খেয়ে বিকেল তিনটার দিকে সবার অজান্তে নিজেদের ঘরে প্রবেশ করে সুজাদুল। ঘরের ভিতর থেকে দরজা আটকে দিয়ে মায়ের শাড়ি দিয়ে ধন্নার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে সে আত্মহত্যা করে। এর কিছুক্ষণ পর তার বড় ভাই রাহাত ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ পায়। পরে দরজা খোলে ভিতরে প্রবেশ করলে ছোট ভাই সুজাদুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় সে। এসময় চিৎকার করলে বাড়ির অন্যরা এসে সুজাদুলকে উদ্ধার করে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগেই সে মারা যায়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের অনুমোতি দেওয়া হয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিয়ামুল কাউসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।