জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক জাতীয় রচনা প্রতিযোগিতায় ময়মনসিংহ বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে মাহমুদা রহমান মুন্নী। তিনি গৌরীপুর যুগান্তর স্বজন সমাবেশের যুগ্ম সম্পাদক মো. মজিবুর রহমানের কন্যা।
রোববার কমিশনের সচিব (যুগ্ম সচিব) নারায়ণ চন্দ্র সরকার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহ বিভাগে এছাড়াও ক বিভাগে বিজয়ীরা হলেন- ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অর্ণব দাস, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মো. সাব্বির মাহমুদ ( সোয়াদ), হালুয়াঘাট সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শাহরিয়ার মাশরুল হাসিব। খ বিভাগে মুমিনুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মোছা. আজমী আখতার আহি ও নালিতাবাড়ী শহিদ আব্দুল রশিদ মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তনয়া কবির জয়া।
মুন্নী গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সে পঞ্চম শ্রেণি ও জেএসসিতে বৃত্তি অর্জন করে। তার বাবা একেএম মুজিবুর রহমান একটি বেসরকারি ফার্মে চাকরি করেন। মায়ের নাম নুরজাহান বেগম। পেশায় গৃহিণী।
মুন্নী মানবসেবামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ও একজন স্কাউটার। ছবি আঁকা তার প্রিয় শখ। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের ফুলহর গ্রামে।
কমিশন সূত্র জানায়, দুটো গ্রুপে ১০০ জন বিজয়ীকে দেওয়া হবে কমিশনের বৃত্তি, প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে দুই বছর পর্যন্ত এ বৃত্তির অর্থ পাবে বিজয়ীরা। রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নিয়ে এবার অনুষ্ঠিত হবে কুইজ প্রতিযোগিতা। অচিরেই এ প্রতিযোগিতা শুরু হবে।
কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম ও সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে ‘ক’ গ্রুপে নারায়ণ চন্দ্র সরকারকে আহ্বায়ক ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, উপপরিচালক এম রবিউল ইসলাম, সহকারী পরিচালক জেসমিন সুলতানা, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব রবিউল ইসলামকে নিয়ে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ‘খ’ গ্রুপের জন্য পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলমকে আহ্বায়ক ও শিশুসাহিত্যিক ও ছড়াকার আনজির লিটন, উপপরিচালক-১ মোহাম্মদ হাজী সালাউদ্দিন, উপপরিচালক-৩ সুস্মিতা পাইক ও সহকারী পরিচালক (সমাজসেবা ও কাউন্সেলিং) ফারজানা নাজনীন তুলতুলকে সদস্য করে অপর কমিটি করা হয়েছে।