শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন রানা। তিনি এলাকার ভোটারদের সমর্থন আদায়ের জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। উঠান বৈঠক ও পথ সভা করে নয়াবিল ইউনিয়নের জনগণের বন্ধু এবং সমাজ সেবক হিসেবে ভোটারদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এখন সর্বত্রই তাকে ঘিরেই চলছে আলোচনা। সদালাপী, বিনয়ী ও হাস্যোজ্জ্বল তোফাজ্জল হোসেন রানা নির্বাচনী প্রচারনায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন বলেও ভোটাররা জানান।
সরেজমিনে জানা গেছে, এলাকার সাধারণ ভোটার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি নয়াবিল ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তোফাজ্জল হোসেন রানার কোন বিকল্প নেই। রাজপথের লড়াকু এ নেতার তৃণমূলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ছাত্র লীগের রাজনীতি দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। বর্তমানে পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ধারক ও বাহক। এ নেতা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলে সবাই জোটবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নামবেন। ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ ভোটা, শিক্ষক সমাজ ও দলীয় নেতাকর্মীরা বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠছেন। অনেকেই তোফাজ্জল হোসেন রানার পক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারনায় নেমেছেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে স্থানীয় সিনিয়র নেতাদের সাথেও নিয়মিত লবিং চালিয়ে আসছেন রানা। নয়াবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা ঐতিহ্যবাহী পরিবারে জন্ম নেয়া তোফাজ্জল হোসেন রানা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য। তিনি বিএসএস অনার্স এমএসএস পাশ করার পর গত ২১ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলার সখিপুরের বোয়ালি ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ের জনক তিনি। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সেবা করতে নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আ’লীগের মনোনয়ন ও নৌকা প্রতিক চেয়ে ব্যাপক গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠক করে বেশ আলোচনায় রয়েছেন। তার সাথে আওয়ামী লীগের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।
নয়াবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মোঃ সেলিম জানান, তোফাজ্জল হোসেন রানার এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। সাধারণ ভোটার, ছাত্র ও যুব সমাজের মাঝেও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দীর্ঘদিন রাজনীতিতে সরব থাকা এ নেতাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে চান দলীয় কর্মীরাও।
হাতিপাগাড় এলাকার তরুণ ভোটার আল আমিন জানান, তোফাজ্জল হোসেন রানা তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা। সব সময় তাকে মাঠে পাওয়া যায়। বিপদে-আপদে নেতাকর্মীরা তাকে কাছে পান। অনেক নেতাকর্মী আছে তার সাথে। এ কারনে আমরা জনপ্রিয় আওয়ামী লীগের নেতা তোফাজ্জল হোসেন রানা ভাই এর জন্য দোয়া ও সমর্থন কামনা করে জনসংযোগ করছি।
মানিকচাঁদ পাড়া গ্রামের শিক্ষক নূরুল আমিন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন রানা দীর্ঘদিন যাবত আমাদের ইউনিয়নের গরীব অসহায় মানুষের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি মহামারী করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন মানুষের মাঝে নগদ টাকাসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন। এছাড়াও এলাকার যুবকদের খেলাধুলার জন্য নানা সামগ্রী বিতরন করেছেন। তিনি হাস্যজ্জল সদালাপি ও মানুষ গড়ার কারিগর। এলাকার উন্নয়নের জন্য তার মতো মানুষের প্রয়োজন।
মানুপাড়া গ্রামের ভোটার শাহ আলম বলেন, তোফাজ্জল হোসেন রানাকে যদি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত করে নৌকা প্রতিক দেয়া হয় তাহলে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে তিনি বিজয়ী হবেন।
আওয়ামী লীগের মনােনয়ন প্রত্যাশী শিক্ষানুরাগী অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন রানা বলেন, জনসেবার মহানব্রত নিয়ে আমি নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছি। আমার সাথে সাধারণ ভোটারসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক সমাজ রয়েছে। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার মধ্যে নয়াবিল ইউনিয়নকে একটি ডিজিটাল ইউনিয়নে পরিণত করতে চাই । এলাকার সাংসদ সাবেক সফল কৃষিমন্ত্রী অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরীর একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিজেকে এগিয়ে নিতে চাই।
তিনি আরো জানান, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে বিনামুল্যে গরীব অসহায়দের মাঝে সরকারি-বেসরকারী সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, ঘুষ-দূর্নীতি দুর করাসহ শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলাই আমার উদ্দেশ্য। এজন্য আমি সকলের দোয়া, সহযোগীতা ও সমর্থন কামনা করছি।