সুখবর, সুখবর, সুখবর। নালিতাবাড়ী এলাকাবাসীর জন্য সুখবর। মেডিসিন, প্রসূতি ও শিশুরোগ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার সাহেব প্রতি মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার নিয়মিত রোগী দেখবেন, মেলা মেলা মেলা। মোবাইল সীমের ধামাকা মেলা, ছাড় ছাড় ছাড়। ফ্রিজ কিনলেই বিশাল ছাড় কৃষক ভাইদের জন্য সুখবর। এ রকম নানা সুখবরের মাইকিং এ শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরবাসীর জন্য এখন নিত্য দিনের যন্ত্রণা হয়ে দাড়িয়েছে। এর সাথে এখন আবার যোগ হয়েছে পৌরসভায় ইউনিয়ন পরিষদের প্রচারনার মাইকিং। এতে বাড়ছে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা। এজন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি পৌরবাসীসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
পৌরসভার সচেতন নাগরিক দুলাল হোসেন বলেন, সকাল থেকেই শুরু হয় মাইকের যন্ত্রণা। ডাক্তার, সিম বিক্রি থেকে শুরু করে বিরাট ছাড়ের খবরর পর্যন্ত উচ্চ শব্দে মাইক বাজাতে থাকে। মাইকিং এর প্রচারনায় মানা হয় না সরকারী নিয়মনীতি। তিনি আরও বলেন এসব যন্ত্রণার কারণে অনেক সময় পৌরসভা, প্রশাসন, থানা পুলিশ, প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকান্ড এবং বিদ্যুতের জরুরি ঘোষণাসমূহ খেয়াল করা হয়না। সেজন্য পরবর্তীতে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ভোগান্তির মুখে পড়ে হয়।
ধারা রোডের বোর্ড বাজারের ব্যবসায়ী মোহামমদ আলী জানান, আগে প্রধান প্রধান সড়কে মাইকে এসব কার্যক্রম হলেও বর্তমানে পাড়া-মহল্লায় হচ্ছে এসব প্রচার-প্রচারনা। নির্দিষ্ট কোন সময় নাই উচ্চ শব্দে ভোগান্তির কথা বিবেচনা করছে না ।
এই শব্দ দূষণ সম্পর্কে নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার তানবির ইবনে কাদের বলেন, উচ্চ শব্দ অদৃশ্য শত্রু। সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। এ দূষণে শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শব্দ দূষণের ফলে বধিরতা, রক্তচাপ বৃদ্ধি, হৃদযন্ত্রের জটিলতা, ঘুমের ব্যাঘাতসহ অনেক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই শব্দযন্ত্রের ব্যবহার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
এদিকে, শব্দযন্ত্রের অতিমাত্রায় ব্যবহার নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয় সচেতন মহলও। তাদের দাবি, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন মতে অনুমোদিত ব্যক্তি বা সংস্থা ছাড়া শব্দযন্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। আবাসিক বা নীরব এলাকায় দিনের বেলা ৫০ ও রাতের বেলা ৪০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ ব্যবহারের অনুমোদন নেই। ভবিষ্যতের স্বার্থে শব্দ যন্ত্রের পরিমাণ নির্ধারণ প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোরাদ হোসেন টেটন বলেন, উচ্চ শব্দে মাইকিং এর কারনে শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধদের চরম ক্ষতি হয়। নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময়ে মাইকিং করা দরকার।